তানজিদের ব্যাটে জয় দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ ঢাকার
বিপিএলের এবারের আসরে দারুণ ছন্দে আছে চিটাগং কিংস। ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে দলটি। সুযোগ ছিল ঢাকাকে হারিয়ে চট্টগ্রাম পর্বের শেষটা রাঙানোর। তবে, ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেটা আর হয়নি। ৮ উইকেটের হারে প্লে-অফের অপেক্ষা বাড়ল চিটাগংয়ের। আর ঢাকা তুলে নিল আসরে নিজেদের তৃতীয় জয়। এই জয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে অভিনেতা শাকিব খানের দল।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৮ রান তোলে চিটাগং। জবাবে ১৮.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এই ব্যাটারের এমন ছন্দ আশাবাদী করছে দর্শকদের।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু করেন ঢাকার দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। গড়েন ৭৫ রানের অনবদ্য জুটি। এই জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে দলটি। ২৮ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। শেষ কয়েকটি ম্যাচেই রানের দেখা পাচ্ছেন এই ব্যাটার।
লিটনের বিদায়ের পর মুনিম শাহরিয়ারকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন তামিম। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৪৬ রান। দলীয় ১১১ রানের মাথায় মুনিম বিদায় নিলেও জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি দলটির। সাব্বির রহমানকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তামিম।
এর আগে, ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ হয় চিটাগংয়ের। দুই ওপেনার নাঈম ইসলাম ও জুবাইদ আকবরী মিলে গড়েন ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৯ বলে ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এই আফগান ব্যাটারের বিদায়ের পর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ফের জুটি গড়েন নাঈম। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৪৯ রান।
দলীয় ৮৯ রানের মাথায় ফেরেন ক্লার্ক। ১৯ বলে ১৮ রান আসে ক্লার্কের ব্যাট থেকে। অবশ্য ক্লার্ক ফিরলেও পরের ব্যাটারদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন নাঈম। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও তা পূরণ করতে পারেননি নাঈম। ফেরেন ৪০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে। এরপর দ্রুতই হুসেইন তালাতে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তবে, শামীম পাটোয়ারি ও হায়দার আলীর ব্যাটে চাপ সামলে এগিয়ে যায় চিটাগং। এই দুইজনের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহের স্বপ্ন দেখে দলটি। যদিও তারা বিদায় নিলে ফের বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। শেষদিকে মিথুন চেষ্টা করলেও বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেননি। প্লে-অফের দৌড়ে থাকা দলটি থামে দলীয় ১৪৮ রানে।