ইংল্যান্ডকে লজ্জায় ডুবিয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল ইংল্যান্ডের। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি দলটির জন্য ছিল নিয়মরক্ষার। সে নিয়মরক্ষার ম্যাচেই কিনা লজ্জার রেকর্ড গড়ল ইংলিশরা। দাপুটে জয়ে সেমি নিশ্চিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার।
ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৮০ রানের লক্ষ্য ২৯.১ ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা তিন হার নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শেষ করেছে জস বাটলারের দল। ৫ পয়েন্ট নিয়ে 'বি' গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৮০ রানের। ত্রিস্টান স্টাবস (০) আর রায়ান রিকেলটনের (২৭) স্টাম্প উড়িয়ে জোফরা আর্চার একটু আশা দেখালেও লড়াই করা হয়ে উঠেনি ইংল্যান্ডের।
৫৬ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৬৪ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে জয়ের কাছাকাছি এসে ফেরেন হেনরিখ ক্লাসেন। ৮৭ বলে ৬ চার আর ৩২ ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন রসি ভ্যান ডার ডাসেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন ডেভিড মিলার।
আফগানদের কাছে হেরে আগেই বাদ পড়া ইংলিশ শিবির পুরাই টালমাটাল অবস্থায়। শুরু থেকে উইকেটের মিছিলে কোনোমতে ১৮০ রানের লক্ষ্য দেয়। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন জো রুট। ইংলিশদের হয়ে শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে নামা জস বাটলারের রান ২১। আর কেউ বিশের বেশি করতে পারেনি। মার্কো জানসেন-ভিয়ান মাল্ডার সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কমপক্ষে তিন ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু কোন জয় নেই এমন দলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টে এর আগে কেবল ৩ দলকে এক আসরে ৩ ম্যাচের সবকটায় হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। ২০০৬ সালে ভারতের মাটিতে টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বেই ৩ ম্যাচ হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবারে ১ জয় পায় বাংলাদেশ।