নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

ভারত ও নিউজিল্যান্ড দুই দলেরই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। লড়াইটা ছিল গ্রুপ-চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি ভারতের। কিউইদের ৪৪ রানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিতে খেলতে নামবে রোহিত শর্মার দল।
আজ রোববার (২ মার্চ) দুবাইতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪৪ রানের দারুণ জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার দল। টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা তোলে ৯ উইকেটে ২৪৯ রান। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে কিউইরা গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে।
২৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৭ রানে রাচিন রবীন্দ্রকে (৬) হারায় নিউজিল্যান্ড। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ডিপ থার্ডে দাঁড়ানো অক্ষর প্যাটেল সামনে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন। উইল ইয়াং ও কেন উইলিয়ামসন ওই ধাক্কা বুঝতে দেননি। দুজনের জুটি ভেঙে যায় দলীয় ৪৯ রানে। পাঁচ উইকেট নেওয়ার পথে বরুণের প্রথম শিকার হন ইয়াং (২২)। ড্যারিল মিচেল (১৭) বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও নিউজিল্যান্ড স্বস্তির মধ্যে ছিল। কুলদীপ যাদব তাকে ফেরান।
উইলিয়ামসনের সঙ্গে টম ল্যাথামের ৪০ রানের জুটি ভাঙতেই চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১৪ রানে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন ল্যাথাম। তারপর বরুণের স্পিন জাদুতে ছন্নছাড়া কিউইরা। টানা দুই ওভারে গ্লেন ফিলিপস (১২) ও মাইকেল ব্রেসওয়েল (২) তার শিকার হন। হাফ সেঞ্চুরি করে উইলিয়ামসন হাল ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু অক্ষরের বলে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন তিনি। শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের জয়ের ক্ষীণ আশা। ১২০ বলে ৭ চারে ৮১ রানে আউট হন উইলিয়ামসন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো ছিল না। ৭ ওভারের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে দলটি। সপ্তম ওভারে বিরাট কোহলি যখন গ্লেন ফিলিপসের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ হয়ে ফিরলেন, ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৩০। বলে ৪২ রান করে অক্ষরের বিদায়ের পর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। আইয়ার ফেরেন ৩৭তম ওভারে দলকে ১৭২ রানে রেখে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৯৮ বলে ৭৯ রান করা আইয়ার টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন। তাতেই লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় ভারত।
এই হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে 'এ' গ্রুপের রানার্সআপ হলো মিচেল স্যান্টনারের দল। তিন ম্যাচে তাদের অর্জন ৪ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তারা মোকাবিলা করবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে 'বি' গ্রুপের সেরা হয়েছে প্রোটিয়ারা। সমান ম্যাচে অজিদের অর্জন ৪ পয়েন্ট।