চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে লর্ডসে চলছে বোলারদের দাপট। দুই দলের পেসারদের দাপটে উইকেটে দাঁড়াতেই পারছে না ব্যাটাররা। প্রথম দুই দিনেই পড়েছে মোট ২৮ উইকেট। দুই দলই একবার করে অলআউট হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা একটু বেশিই বিপর্যয়ে পড়েছে। প্রথম ইনিংসে তাদের অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এতে দ্বিতীয় দিন শেষেই হারের শঙ্কায় পড়েছে প্রটিয়ারা।

নিজেদের প্রথম  ইনিংসে ২১২ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৭৪ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলেছে অসিরা। সবমিলিয়ে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ২১৮ রানের। ১৬ রান করে অপরাজিত আছেন মিচেল স্টার্ক আর নাথান লায়ন ১ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালোই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতেই তোলে ২৮ রান। চলমান টেস্টে ওপেনিং জুটিতে এটাই সর্বোচ্চ রান। উসমান খাজাকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন কাগিসো রাবাদা। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ এই ওপেনার করেন মোটে ৬ রান। এরপর ব্যাটিং ধ্বস দেখে অস্ট্রেলিয়া। ব্যর্থ হয়ে একে একে ফিরে যান ক্যামেরন গ্রিন (২ বলে ০), স্টিভেন স্মিথ (২৫ বলে ১৩), ট্রাভিস হেড (১৮ বলে ৯), ব্রিউ ওয়েবস্টার (১১ বলে ৯), প্যাট কামিন্স (৫ বলে ৬)। লাবুশেন চেষ্টা করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২ চারে ৬৪ বলে ২২ রান করেন তিনি।

শেষদিকে এসে প্রতিরোধ গড়নে মিচেল স্টার্ক আর অ্যালেক্স ক্যারি। এই দুজনে মিলে অস্টম উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬১ রানের জুটি গড়েন। পড়ন্ত বিকেলে ক্যারিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন রাবাদা। হাফসেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৫ চারে ৫০ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারি।

এরপর নাথান লায়নকে নিয়ে দিনের বাকি সময় পার করে দেন স্টার্ক। দিনের দুই বল বাকি থাকতে স্লিপে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে স্টার্ককে সেই সুযোগ করে দেন ইয়ানসেন।

এর আগে ৪ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে প্রোটিয়ারা। এদিন সকালটা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার বাভুমা আর বেডিংহ্যাম। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের শেষদিকে বাভুমাকে ফিরিয়ে ভয়ংকর হতে থাকা সেই জুটি বেঙে দেন প্যাট কামিন্স। ফেরার আগে বাভুমা ৪ চার আর এক ছক্কায় ৮৪ বলে করেন ৩৬ রান।

বাভুমা ফিরলে ভেরেইন্নাকে নিয়ে হাল ধরেন বেডিংহ্যাম। ভেরেইন্নাকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। এর আগে ৩৯ বলে ১৩ রান করেন তিনি। এই জুটি ভাঙতেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন।

কোনো রান না করেই ফিরে যান মার্কো ইয়ানসেন। হাফসেঞ্চুরির দিকে ছুটে চলা ডেভিড বেডিংহ্যামকে ফেরান কামিন্স। ৬ চারে ১১১ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। বেডিংহ্যামকে ফিরিয়েই ফাইফার তুলে নেন কামিন্স। এরপর রান আউটে কাটা পড়েন কেশব মাহারাজ (১৫ বলে ৭)। ৬ বলে ১ রান করা রাবাদাকে ফিরিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন কামিন্স।