লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে অদ্ভূত কাণ্ড ঘটালেন রেফারি

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বেনফিকা ও বোকা জুনিয়র্স ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি আলোচনা ছিল না ফুটবল দুনিয়ায়। তবে ম্যাচের ঘটনা এই ম্যাচটিকেই এখন আলোচনার শীর্ষে নিয়ে এসেছে। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে। প্রথম ২৭ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স। এরপর সমতা ফেরায় বেনফিকা।
সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে আম্পায়ারকে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে মাঠে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে। ম্যাচে ফাউলের ঘটনা ঘটেছে ২১টি। যে কারণে ৪ বার হলুদ কার্ড আর ৩ বার লাল কার্ড দেখাতে হয়েছে মেক্সিকান রেফারি সিরাজর রামোসকে। সেই কার্ড দেখাতে গিয়েই ঘটেছে অদ্ভূত এক ঘটনা।
৮৮ মিনিটে বেনফিকার মিডফিল্ডার ফ্লোরেন্তিনো লুইসকে মারাত্মকভাবে ফাউল করলে বোকার সেন্টার ব্যাক হোর্হে ফিগালকে লাল কার্ড দেখান রামোস। আর এ কার্ড দেখাতে গিয়েই অদ্ভুত এক দৃশ্যের জন্ম দেন মেক্সিকান রেফারি।
রামোস যখন দৌঁড়ে এসে লাল কার্ড দেখান। তখন লাল কার্ডের সঙ্গে তার পকেট থেকে বেড়িয়ে আসে আরো একটি কার্ড। ব্রডকাস্টে সেটি স্পষ্ট বোঝা না গেলেও মার্কাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে, সেই কার্ডে ছিল ‘ভার্জিন অব গুয়াডালুপে’ বা গুয়াডালুপের ভার্জিনের ছবি।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে এই গুয়াডালুপের ভার্জিন কে? ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, গুয়াদালুপের ভার্জিন হচ্ছেন কুমারী মেরির বিশেষ এক রূপ। মেক্সিকানদের অনেকেই বিশ্বাস করেন, ১৫৩১ সালের দিকে দেশটিতে জুয়ান দিয়েগো নামের এক সাধারণ আদিবাসীর সামনে আবির্ভূত হন তিনি।
লাতিন আমেরিকায়ও গুয়াদালুপের ভার্জিনকে শ্রদ্ধা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, তিনি দুর্বল ও নির্যাতনের শিকার মানুষকে আশ্রয় ও সমর্থন দিতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
রামোস অবশ্য দ্রুতই গুয়াদালুপের ভার্জিন ছবিসংবলিত কার্ডটি পকেটে রেখে দেন। তবে, রামোসের অনাকাঙ্ক্ষিত এই কার্ড দেখানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।