গলে ড্র দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসরের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। শেষ দিনের বৃষ্টি দুই দলের সমীকরণই বদলে দিয়েছে। তবে গলে শেষ বিকেলে যখন শ্রীলঙ্কা মারমুখী হতে গিয়েছে তখনই ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশের স্পিনের। ৩৭ ওভারে ২৯৬ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে ৭২ রানেই হরায় ৪ উইকেট। তাইজুল ইসলাম ৩টি ও নাঈম হাসান নেন ১টি উইকেট।

পঞ্চমদিনে বিকেলে বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘যতক্ষণ আমরা বোলিং করেছি ৪টা উইকেট আবার নিতে পেরেছি। খুশি একারণে যে বোলাররা শেষে যতটু্কু সুযোগ পেয়েছে ভালো বল করেছে।’

এর আগে প্রথম ইনিংসে যখন ব্যাটাররা অনায়াসে রান তুলে যাচ্ছিল তখনও নাঈম জ্বলে উঠেছিলেন ঠিকই, তুলে নেন লঙ্কানদের ৫ উইকেট, প্রথম ইনিংসে তাইজুল পেয়েছেন ১ উইকেট।

দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার ১৪ উইকেটের ১১ উইকেটই পায় বাংলাদেশের স্পিনাররা। নাঈম-তাইজুল মিলেই তুলে নেন ১০ উইকেট। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই দুজনের প্রশংসা করলেন শান্ত। তিনি বলেন, “যেভাবে তাইজুল ও নাঈম বল করেছে তা দারুণ। এই ধরনের কন্ডিশনে প্রথম ইনিংসে নাঈম যেভাবে বোলিং করেছে তা ছিল দুর্দান্ত। সে খুব বেশি সুযোগ পায়নি কিন্তু তার ওয়ার্ক এথিক দারুণ, সে দেখিয়েছে সে কতটা ভালো।”

পেসারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ৩ উইকেট। এছাড়া এই ম্যাচে পেসাররা তেমন ভালো বল করতে পারেননি। পেসারদের নিয়েও অধিনায়ক শান্ত বেশ ইতিবাচকভাবে কথা বলেছেন ও তাদের নিয়ে আশাবাদী। তবে পেসাররা প্রথম ইনিংসে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারলে ভালো হতো বলে মনে করেন, কন্ডিশনও খুব একটা তাদের পক্ষে ছিল না বলেও জানান। শান্ত বলেন, ‘কয়েক ম্যাচ ধরে পেস বোলাররা ভালো করে আসছে, সো একটা ম্যাচ খুব ভালো হয়নি, কিন্তু আমার মনে হয় পরের ম্যাচে তাদের আবার সুযোগ আসে তারা ভালো করবে।’

গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৮৫ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শান্ত-মুশফিকরা। ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। এতে লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭ ওভারে ২৯৬ রানের। ৪ উইকেটে ৭২ রান তোলে লঙ্কানরা। এরপর ৫ ওভার বাকি থাকতেই ড্র মেনে নেয় দুই দল।