বাংলাদেশের অন্ধকারের আলোর নাম তাইজুল ইসলাম। কন্ডিশন যাই হোক না কেনো তাইজুলকে ছাড়া এখন টেস্ট দল কল্পনাও করা যায়। এই অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি সিরিজেই তাইজুল আলো ছড়ান। তার স্পিন ঘূর্ণি দেখান। সিরিজের ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে না এলেও তাইজুল থাকেন উজ্জ্বল।

সেই ধারায় চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আলো ছড়াচ্ছেন বাঁ-বাতি এই স্পিনার। আজ শুক্রবার (২৭ জুন) কলম্বোতে তুলে নিয়েছেন ফাইফার। লঙ্কানদের অনেকটা একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তাইজুল। স্বাগতিদের আটকে দিয়েছেন ৫০০ পেরোনোর আগে।

পাঁচ উইকেট তুলে নিতে তাইজুল শিকার ধরেছেন বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে। আরেক ওপেনার লাহিরু উদারাকেও তিনিই ফিরিয়েছেন। লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও তাইজুলের শিকার হয়েছেন। টাইগার স্পিনারের সর্বশেষ শিকার দুই টেলএন্ডার থারিন্দু রত্নায়েকে ও আসিতা ফার্নান্দো।

পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে নতুন এক কীর্তি গড়েছেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। সময়ের অন্যতম সেরা বোলার প্যাট কামিন্সকে পেছনে ফেলে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর পাশে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টেস্টে সর্বোচ্চ ১৪ বার পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম। সমান সংখ্যকবার পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন বর্তমান সময়ের সেরা বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। এই তালিকায় তাইজুলের পরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। শীর্ষে পাঁচে আছেন অসি স্পিনার নাথান লায়ন ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। লায়ন ১২ বার ও ভারতের সাবেক অফ স্পিনার অশ্বিন ১১ বার নিয়েছেন ৫ উইকেট।

আরো একটি এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তাইজুল। বাঁ-হাতি স্পিনারদের মধ্যে পাঁচ উইকেট শিকারের সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এই তালিকায় তাইজুল উঠে এসেছেন চার নম্বরে। শীর্ষে থাকা রঙ্গনা হেরাথ টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ বার।

জাতীয় দলে খেলা হচ্ছে না সকিব আল হাসানের। বোলিংয়ে তার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাইজুলকে। সেই দায়িত্ব পালন করে তাইজুল ছাড়িয়ে যাচ্ছেন সাকিবকেও। এ নিয়ে দেশের বাইরে পাঁচবার ৫ উইকেট নিলেন তিনি। এতে নাম লিখিয়েছেন সাকিবের সঙ্গে। বাংলাদেশের হয়ে দেশের বাইরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড এখন তাইজুলের দখলে।