ঘরের মাঠে হেরে আবাহনীর বিদায়

নিয়ম অনুযায়ী এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার কথা ছিল প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের। কিন্তু ক্লাব লাইসেন্স না থাকায় সুযোগ পায় রানার্সআপ আবাহনী। ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল কিরগিস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেড। পাঁচ বছর পরে ক্লাব ফুটবলের আন্তর্জাতিক মঞ্চ ফিরেছিল জাতীয় স্টেডিয়ামে। কিন্তু গ্যালারি ছিল ফাঁকা। গ্যালারির মতো আবাহনীর স্কোরলাইনও থাকল ফাঁকা। জয় নিয়ে দেশে ফিরছে মুরাস ইউনাইটেড।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জাতীয় স্টেডিয়ামে মুরাসের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী। প্রথমার্ধে গোলবার অক্ষত রাখতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল হজম করে হারে আবাহনী।
এই হারের সঙ্গে সঙ্গে মূলপর্বে খেলার আশা শেষ হয়েছে আবাহনীর। প্লে-অফেই বাদ পড়লেন আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। বিপরীতে, অভিষেক আসরেই মূলপর্বে খেলার যোগত্য অর্জন করল কির্গিজ ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবাহনীর জালে বল জড়িয়ে দেয় মুরাস। ৪৬ মিনিটে বক্সের বাম পাশ থেকে ক্রস বাড়ান বাতসুলা। লাফিয়ে উঠে হেডে জাল খুঁজে নেন জুমাশেভ। আবাহনীর ডিফেন্ডাররা তাকে মার্ক করতে পারেনি। ফলে জুমাশেভের হেড গোলরক্ষক মিতুলের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
আবাহনী বারবার ম্যাচে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করলেও জোড়াল কোনো আক্রমণ করতে পারেনি মোরসালিন-দিয়াবাতেরা। ৭২ মিনিটে আবাহনীর একমাত্র বিদেশি সুলেমান দিয়াবাতে বক্সে বল দেন মোরসালিনকে। ভালো পজিশনেও ছিলেন বসুন্ধরা থেকে আবাহনীতে নাম লেখানো এই ফুটবলার। কিন্তু কাজে লাগেত পারেননি তিনি।
শেষদিকে এসে আরও এক গোল হজম করে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুলের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে জুমাশেভ বক্সে একক প্রচেষ্টায় প্রবেশ করেন। গোলরক্ষক মিতুল মারমা এগিয়ে এলেও গোল থেকে বাঁচাতে পারেননি।