ডি মারিয়ার চোখে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা পাঁচ ফুটবলার কারা?

গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, দিয়েগো ম্যারাডোনা, আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, মারিও কেম্পেস, ড্যানিয়েল পাসারেলারা এক সময় আর্জেন্টিনার জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন। এখন সেই দায়িত্ব পালন করছেন লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়ারা। তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী আলবিসেলেস্তেরা। এমন একটি দল থেকে একজন ফুটবলার তো বটেই পাঁচজন ফুটবলারকে বেছে নেওয়াও বেশ কঠিন। সেই কাজটি করেছেন ডি মারিয়া।
ক’দিন আগে জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছেন ডি মারিয়া। তার আগেই ক্যারিয়ারের প্রায় সমস্ত শিরোপা জেতা হয়েছে এই আর্জেন্টাইন তারকার। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা থেকে ফিনালিসিমা—উঁচিয়ে ধরেছেন সবগুলো শিরোপাই। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে ইউরোপের ফুটবলকেও বিদায় জানিয়েছেন ডি মারিয়া। যোগ দিয়েছেন শৈশবের ক্লাব ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে।
এই ক্লাবের হয়ে অনুশীলন করার সময় ডি মারিয়ার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘লা নাসিওন’। সেখানে ডি মারিয়াকে বলা হয়েছিল, আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা পাঁচ ফুটবারকে বেছে নিতে। প্রথম তিনজনকে বেছে নিতে বেগ পেতে হয়নি ডি মারিয়ার। কিন্তু পরের দুজনকে বেছে নিতে একটু কষ্টই করতে হয়েছে তাকে। এমনকি এই দুজনকে নিয়ে বিতর্কও তৈরি হতে পারে।
ডি মারিয়ার সেরা পাঁচ ফুটবলারের তিনজন হলেন- লিওনেল মেসি, দিয়েগো ম্যারাডোনা ও মারিও কেম্পেস। এরপর ডি মারিয়াকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে বাকি দুজন কারা? ডি মারিয়ার উত্তর—ঠিক জানি না। সম্ভবত (ড্যানিয়েল) প্যাসারেলা একজন।
এই চারজনের নাম বলার পরে ডি মারিয়া নিজেই প্রশ্ন করেন, বর্তমান প্রজন্ম থেকে কাউকে বেছে নিতে পারি? এরপর ডি মারিয়া বলতে শুরু করেন এভাবে—আমার মনে হয়, জাতীয় দলের পুরো প্রজেক্টেই রদ্রি (রদ্রিগো দি পল) খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলে সে প্রাণ সঞ্চার করে! সবাই তাকে মাঠের ভেতরে ‘ইঞ্জিন’ বললেও মাঠের বাইরেও সে তা–ই। দলের ভেতরে বন্ধুত্ব ও ইতিবাচক মানসিকতা বয়ে আনে। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরা ছাড়াই সে অধিনায়ক।
বর্তমান আর্জেন্টিনা দলে মেসি যদি নায়ক হয় তাহলে সহনায়ক হবেন ডি মারিয়া। মেসির সঙ্গে জুটি বেঁধে আর্জেন্টিনার সাফল্যের গল্প লিখেছেন তিনি। যে কারণে অনেকেই সেরা ফুটবলারের মধ্যে ডি মারিয়ার নাম রাখবেন। তবে আর্জেন্টাইন তারকার কাছে র্যাঙ্কিং নয়, মানুষের ভালোবাসাই বেশি দামি।
এক সময় রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি, বেনফিকার হয়ে মাঠ মাতানো ডি মারিয়া বলেন, ‘যা যা জেতার প্রায় সবই জিততে পারাটা আমার পুরস্কার। আমি পূর্ণ এবং তাতে সুখী। লোকে চাইলে আমাকে শীর্ষ তিনে, পাঁচে, দশে কিংবা যেখানে খুশি রাখতে পারে। যত দিন তাঁরা আমাকে ভালোবাসেন, তত দিন পর্যন্ত র্যাঙ্কিং (অবস্থান) আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’