বিতর্ক শেষে দ্রুততম মানবী সুমাইয়া

বিতর্ক চললো ঘণ্টা দুয়েক। কে হবেন দ্রুততম মানবী সেই অপেক্ষায় অ্যাথলেট থেকে শুরু করে সাংবাদিক—সবাই। দুই ঘণ্টা আগে ইভেন্ট শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছিল না। ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ে এগিয়ে ছিলেন সুমাইয়া দেওয়া। কিন্তু আপত্তি তুলেন শিরিন। তাতেই বেধেছিল যত বিপত্তি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দ্রুততম মানবীর খেতাবটা গেছে সুমাইয়ার কাছেই।
আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে সামার অ্যাথলেটিকসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে শিরিন আক্তারকে পেছনে ফেলে দ্রুততম মানবীর খেতাব অর্জন করেছেন সুমাইয়া। ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ে ১২.১৯ সেকেন্ডে দ্রুততম মানবী হয়েছে সুমাইয়া। ১২.২১ সেকেন্ডে দ্বিতীয় হয়েছেন শিরিন আক্তার। এর আগে ২০২২ সালেও শিরিনকে হারিয়েই প্রথমবার পদক জিতেছিলেন সুমাইয়া। এটি তার দ্বিতীয় পদক।
ফলাফল নিয়ে নৌবাহিনীর অ্যাথলেট শিরিন দাবি করেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে প্রথম হয়েছি। আগে ফিনিশিং করেছি। ফটোফিনিশিং দেখার অধিকার অ্যাথলেটের রয়েছে। আমি সেটা দেখতে চাই।’
এরপর শিরিন তার কোচ ও কর্মকর্তাকে নিয়ে ফটোফিনিশিংয়ের সামনে যান। সেখানে বিচারকদের পাশাপাশি ফেডারেশন সেক্রেটারি শাহ আলমও উপস্থিত ছিলেন। ফেডারেশন সেক্রেটারি শিরিনের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে ফলাফল ঘোষণা হবে। কারও আপত্তি থাকলে সেটা পরবর্তীতে দেখা যাবে।’
অবশ্য তার এই ঘোষণাতেও কাজ হয়নি। ফলাফল প্রকাশ করতে তবুও প্রায় দুই ঘণ্টা লেগে যায়। শিরিন আক্তার ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সদস্য। সেজন্যই এমন বিলম্ব কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘এখানে কমিটির সদস্য বা অন্য কিছু নয়। যেটা ফলাফল সেটাই আমরা দিচ্ছি, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ।’
জাতীয় ও সামার মিলিয়ে ১৬ বার দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। সুমাইয়া দেওয়ানের কাছে নিজের খেতাব হারানোটা হয়তো তাই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি শিরিন।