আবারও একাডেমি দলের কাছে হারল বাংলাদেশ

ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে এসেছিলেন ব্যাটাররা। স্কোরবোর্ডে যোগ করেছিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। কিন্তু এদিন বোলাররা ডুবলেন রানের সাগরে। নির্বিষ বোলিংয়ে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির ব্যাটারদের কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারলেন না রিপন মন্ডল-মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী-রাকিবুল হাসানরা। ফলাফল হিসেবে আরও একটি হার দেখল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাব দিতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমি।
রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেন অ্যাডিলেডের ওপেনার ম্যাককেঞ্জি হারভে। শেষ পর্যন্ত তাকে থামানোর কোনো উপায়ই খুঁজে পায়নি রিপন-মৃত্যুঞ্জয়রা। তিনি একাই বাংলাদেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন ম্যাচ। মাঠ ছেড়েছেন সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত থেকে। ১৫ চার আর এক ছক্কায় ৫৩ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে।
তার সঙ্গে নামা আরেক ওপেনার অবশ্য খেলেছেন দেখেশুনে। ১৩ ওভারে গিয়ে ৩৫ বলে ৩৫ রান করা জ্যাক উইন্টারকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচ চলে গেছে অ্যাডিলেডের হাতে। এরপর অবশ্য আরও দুটি উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। তারা হলেন হ্যারি নিয়েলসন (৪ বলে ৩ রান) ও টম ও’কননেল (৪ বলে ৬)। বাংলাদেশের লড়াই ঠিক এতটুকুই।
শেষদিকে ম্যাককেঞ্জির সঙ্গে জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে ফেরেন পাঁচ নম্বরে নামা হ্যারি মানেন্টি। ১৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন সাইফ হাসান। একটি উইকেট গেছে মৃত্যুঞ্জয়ের ঝুলিতে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার জিসান আলম আর মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন জিসান। যদিও নাঈম ছিলেন ঠিক তার উল্টো। মন্থর গতিতে ১৭ বলে ১৫ রান করে ফেরেন তিনি।
তিনে নামা সাইফ হাসান যেন কপি করেছেন নাঈমকে। তিনি ফিরেছেন ১৯ বলে ১৫ রান করে। গতকাল এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেয়ে আজই ব্যর্থ হলেন তিনি। একই অবস্থা অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানেরও। ৮ বলে ৬ রান করে ফিরেছেন তিনি।
বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে আলো ছড়িয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার জিসান। ৫ চার আর এক ছক্কায় ৩৮ বলে ৫০ রান করে ফেরেন তিনি।
শেষ দিকে ঝড় তুলে আফিফ হোসাইন আর ইয়াসির আলি চৌধুরীর জুটি। শেষ ৪.৫ ওভারে ৭০ রান তোলেন তারা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফিফ অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৪৯ রানে। ইয়াসির অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে ২৫ রান করে।