ব্র্যাডম্যান-ওয়ার্নদের পাশে নাম লেখালেন ক্লার্ক

ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন বেলিন্ডা ক্লার্ক। সেটিও ১৯৯৭ বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলেন ২২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। অস্ট্রেলিয়া নারী দলের সাবেক এই অধিনায়ক ক্যারিয়ার জুড়ে অনেক সাফল্যের দেখা পেয়েছেন। জায়গা পেয়েছেন স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়ার ‘হল অব ফেম’-এ। এবার তিনি পেলেন ‘লেজেন্ড’ মর্যাদা।
অস্ট্রেলিয়ার সব ধরনের খেলার গ্রেটদের জয়গা মেলে হল অব ফেমে। কিন্তু তাদের মধ্যেও এমন খেলোয়াড় যারা নিজেদের খেলায় অসাধারণ কোনো কৃতিত্ব, দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য, দৃঢ়তা ও আজীবন অবদান রেখে যান তাদেরে দেওয়া হয় ‘লেজেন্ড’ মর্যাদা। এখন পর্যন্ত ৫৩ জন ক্রীড়াবিদ এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। যেখানে ক্লার্কসহ ক্রিকেটার আছেন ছয়জন।
ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ‘লেজেন্ড’ তালিকায় স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, কিথ মিলার, রিচি বেনো, ডেনিস লিলি ও শেন ওয়ার্ন পাশে নাম লেখালেন ক্লার্ক।
ক্লার্ক ছিলেন মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ব্যাটারদের একজন। ১৯৯১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এই সময়ে ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৪৭.৪৯ এবং টেস্টে ৪৫.৯৫। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই তিনি অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব পান। এরপর ১১ বছর ধরে দলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন।
তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া নারী দল ১০১টি ওয়ানডে খেলে জয় পেয়েছে ৮৩টিতে। তার অধীনে দুটি বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতেছে অসি নারীরা। তিনি তার ক্যারিয়ারে ১৫টি টেস্ট খেলেছেন, যেখানে ১১ টিতেই ছিলেন দলের অধিনায়ক।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ক্লার্ক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আইসিসি নারী কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উইমেন’স উইংয়ের প্রধান নির্বাহী ও নানা ভূমিকায় কাজ করেছেন ১৫ বছর।
২০২৩ সালে ক্লার্ককে সম্মান জানিয়ে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) অন্যান্য কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদদের পাশে তার একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। ক্রিকেটে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলস তার নামে বিশেষ পদক প্রবর্তন করেছে।
‘লেজেন্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেম-এ ‘লেজেন্ড’ মর্যাদায় ভূষিত হওয়া এক অভাবনীয় সম্মান। আমি এক ধরনের বিস্ময়, কৃতজ্ঞতা ও গর্বের মিশ্র অনুভূতি অনুভব করছি। আমি একটি দলগত খেলা খেলেছি এবং বাস্তবতা হলো আমাদের কেউই পুরো দলের সহায়তা ও নিবেদন ছাড়া কিছুই অর্জন করতে পারি না।’
স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া ‘হল অব ফেম’ নির্বাচনি কমিটির চেয়ার ব্রুস ম্যাকাভানে বলেন, ‘তিনি (ক্লার্ক) একজন পথপ্রদর্শক, একজন অসাধারণ ব্যাটার, যিনি বোলারদের আক্রমণ করে খেলায় পরিবর্তন এনে দেন। খেলোয়াড়, অধিনায়ক এবং শেষ পর্যন্ত শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসক তিনি। তার নেতৃত্ব ও প্রভাব অতুলনীয়।’