নেইমারকে দলে না রাখা নিয়ে যা বললেন আনচেলত্তি

একটা সময় নেইমার জুনিয়র ছিলেন ব্রাজিলের অন্যতম ভরসার জায়গা। কিন্তু চোট তার ক্যারিয়ারকে ঠেলে দিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তার দিকে। চোটে জর্জরিত নেইমারের তাই ফিরবো ফিরবো করেও ফেরাটা আর হচ্ছে না। অপেক্ষা যত বাড়ছে ২০২৬ বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনাটাও ফিকে হয়ে আসছে। এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুটি ম্যাচের জন্য ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তির দলে তার জায়গা হয়নি শেষ মুহূর্তের চোটের কারণে।
দল ঘোষণার পর গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) আনচেলত্তি ব্যাখা করেছেন কেন তিনি দলে রাখেননি নেইমারকে। তার কথায় উঠে এসেছে তিনি নেইমারের খেলা নিয়ে আলাদাভাবে কোন মূল্যায়ন করতে চান না, কিন্তু তিনি তার দলে পুরোপুরি সুস্থ নেইমারকেই চান।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পুরোপুরি ফিট খেলোয়াড়দেরই দলে চেয়েছেন আনচেলত্তি। সেই হিসেবেই যে নেইমার নেই সেটি তিনি তার কথায় পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিযেছেন। আনচেলত্তি বলেন, ‘গত সপ্তাহে নেইমার একটি ছোটখাটো চোট পেয়েছে। বাছাইপর্বের শেষ দুটি ম্যাচে মাঠে নামব আমরা এবং এগুলো অত্যন্ত কঠিন হবে, তাই আমাদের এমন খেলোয়াড়দের দরকার যারা শারীরিকভাবে পুরোপুরি ফিট, যাতে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারি।’
দল ঘোষণার কিছুদিন আগেও গুঞ্জন উঠেছিল আনচেলত্তির প্রাথমিক দলে আছেন নেইমার। ভক্তরাও অবশ্য সেরকমটি আশা করেছিল। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে ৩৩ বছর বয়সী এই তারকার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সতর্কতার পথ বেছে নিতেই তাকে দলে রাখেননি এই ইতালিয়ান কোচ। আনচেলত্তি বলেন, ‘নেইমারকে আমরা নতুন করে মূল্যায়ন করতে চাই না, আমরা সবাই জানি সে কে এবং সে কী করতে সক্ষম। আমাদের তাকে সম্পূর্ণ ফিট অবস্থায় দরকার, যাতে সে জাতীয় দলকে সেইভাবেই সাহায্য করতে পারে যেটা আমরা সবাই তার কাছ থেকে আশা করি।’
২০২৩ সালেরই ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এসিএল চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন নেইমার। এরপর দীর্ঘ ২২ মাস জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি তার। এবার একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও, জাতীয় দল ঘোষণার আগমুহূর্তে সান্তোসের হয়ে খেলতে নেমে উরুর চোটে পড়েন নেইমার। যেকারণে আবারও তাকে ছিটকে যেতে হয়েছে দল থেকে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচের জন্য ২৫ সদস্যের দল বেছে নিয়েছেন আনচেলত্তি। যদিও ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল।