আমার খেলা, না খেলা কোচের হাতে : জামাল ভূঁইয়া

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের মিডিয়াম্যান হিসেবেই দেখা মিলছে জামাল ভূঁইয়ার। কোচের ঘোষিত স্কোয়াডের অধিনায়ক হিসেবে নাম থাকে জামালের, অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনেও আসেন তিনি। কিন্তু মাঠের খেলায় সেই অধিনায়ককেই সময় কাটাতে হয় বেঞ্চে বসে। বাংলাদেশের সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই দেখা গেছে এমন চিত্র। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচে ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বেঞ্চে বসে পুরোটা সময় কাটিয়েছেন জামাল।
আরও একটি ম্যাচ সামনে। আগামীকাল স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি মাঠে নামতে পারবেন জামাল? আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। সেখানে তাকে মুখোমুখি হতে হল এমন প্রশ্নের। তিনি অবশ্য উত্তর ঠেলে দিলেন কোচের দিকে।
জামাল বলেন, ‘আমি খেলব কি খেলব না, সেটা আমার হাতে নেই। সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। তবে অবশ্যই একজন খেলোয়াড় হিসেবে সবাই খেলতে চায়। আমাদের দলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, আর ফুটবল মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। নিজের সর্বোচ্চটা দিলে তবেই হয়তো জায়গা মিলবে দলে।’
আগামী মাসে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মূলত সেই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবেই দেখা হচ্ছে নেপালের বিপক্ষে এই ম্যাচকে। যে কারণে এই ম্যাচ দুটিতে জিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে সেই মিশনে নামতে চায় বাংলাদেশ।
জামাল বললেন, ‘আমরা এই ম্যাচ দুটোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কারণ এগুলো আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগামী মাসে আমাদের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ আছে হংকংয়ের বিপক্ষে। তাই এই দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুখিয়ে আছি।’
তবে বাংলাদেশের জন্য সেটা সহজ হওয়ার কথা নয়। ২০২২ সালে নেপালের মাঠে দুই দলের সবশেষ দেখায় বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-১ গোলে। নেপাল এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরকে তাদের মাঠেই হারিয়ে এসেছে। অন্যদিকে, অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই নেপালে গেছে বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, কিউবা মিচেল, ফাহমিদুলদের মতো ফুটবলাররা খেলছেন না এই ম্যাচ দুটি। ফলে বেশ কঠিন হবে এই ম্যাচ। অধিনায়ক জামালও সেটা মানছেন।
জামাল বলেন, ‘আমার মনে হয় নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ওদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝা যায় (১-০ গোলের জয়)। সিঙ্গাপুরে গিয়ে খেলাটা সহজ নয়। তাই গত কয়েক মাসে নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। আর এখানে খেলতে আসাটাও প্রতিপক্ষের জন্য সবসময় কঠিন। তবে সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে নেপাল দল ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও নিজ দলের প্রতি জামালের আস্থা অটুট। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা একই—আমরা এখানে তিন পয়েন্টের জন্য এসেছি। আপনি যেকোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সবাই একই উত্তর দেবে। আমরা জিততে এসেছি, তবে একইসঙ্গে ভালো পারফরম্যান্স করতে এবং নিজেদের ও দর্শকদের দেখাতে যে, আমরা উন্নতি করছি, বিশেষ করে আগামী মাসের জন্য। আগামী মাস আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’