নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে বিসিবি
দেশের ক্রিকেট পাড়ার আলোচনার টেবিলে এখন অনেকটা জায়গাজুড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হবে নির্বাচন। নির্বাচনকে গুছিয়ে নিতে কাজও শুরু করে দিয়েছে বোর্ড। ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনারদের নাম।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি।
আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেইন। তার সঙ্গে কমিশনে আছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর সিলেটে বোর্ড সভা শেষে বিসিবি জানিয়েছিল, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই হবে নির্বাচন। তখনই সভাপতি আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের নাম প্রস্তাব করার। আজ সেই তালিকাই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে বিসিবি। এখন নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণার কাজ করবেন এই কমিশনের সদস্যরা।
বিসিবি নির্বাচনে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সভাপতি পদ। ইতোমধ্যে নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনজন। চলতি বছর জাতীয় দলকে বিদায় বলা তামিম ইকবাল ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন নির্বাচন করতে। শুরুতে নির্বাচন করতে না চাওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুলও এখন নির্বাচন করতে চান। এর সঙ্গে আছে সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের নামও।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বোর্ড গঠিত হয় ২৫ জন পরিচালক নিয়ে। এই পরিচালকদের নির্বাচন তিনটি ক্যাটাগরির মাধ্যমে হয়। ক্যাটাগরি ১-এ ঢাকাভিত্তিক ক্লাবগুলোর ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। ক্যাটাগরি ২-এ দেশের ৮টি বিভাগ ও ৬৪টি জেলার কাউন্সিলরদের ভোটে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। ক্যাটাগরি ৩-এ ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটা থেকে ১ জন পরিচালক নির্বাচিত হন।
এছাড়া, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে ২ জন পরিচালক সরাসরি মনোনীত হন। পরবর্তীতে এই ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের ভোটে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন।
বিসিবির সংবিধানের ১৫.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ তার প্রথম সভা থেকে চার বছর। সর্বশেষ বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিকে ২০২৫ সালের ৭ অক্টোবরের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।