শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চে ইসরায়েলকে হারাল ইতালি

বিশ্বকাপ থেকে টানা দুইবার ছিটকে পড়ার হতাশা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় ইতালিকে। তাই ২০২৬ আসরে জায়গা করে নিতে প্রতিটি ম্যাচ তাদের কাছে যেন বাঁচা-মরার লড়াই। সেই চাপের মুখেই সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হাঙ্গেরির দেব্রেসেনে ইসরায়েলের বিপক্ষে মাঠে নামে তারা। সেখানে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে ৯ গোলের নাটকীয়তায় শেষ মুহূর্তে জয় ছিনিয়ে নেয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের 'আই' গ্রুপের রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে ইসেরায়েলকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে ইতালি। এতে লড়াইয়ে টিকে থেকে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে তোনালি-কিনরা।
গতকাল দুইবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরেছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা যে চারটি গোল হজম করেছে তার দুটি আবার আত্মঘাতী। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের যোগ করা সময়ে সান্দ্রো তোনালির গোলে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ইতালি।
রোমাঞ্চকর এই লড়াইয়ে ইতালি ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৭টি শট নেয় এবং ইসরায়েল নেয় ১১টি। দুই দলই সমান ৭টি করে শট লক্ষ্যে রাখতে পারে।
ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি ইতালির। মাত্র ১৬ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল করে দলকে বিপদে ফেলেন মানুয়েল লোকাতেল্লি। প্রথমার্ধের শেষদিকে ৪০তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মোইজে কিনের দূরপাল্লার শটে সমতায় ফেরে ইতালি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ আরও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। ৫২ মিনিটে দর পেরেৎসের গোলে ফের এগিয়ে যায় ইসরায়েল। কিন্তু এরপর টানা দুই গোল করে খেলায় প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ইতালি। ৫৪ মিনিটে কিন নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে সমতায় ফেরানোর পর মাত্তেও পলিতানো ৫৮ মিনিটে গোল করে ইতালিকে এগিয়ে নেন।
৮১ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা জাকোমো রাসপাদোরির গোলে ৪-২ এ এগিয়ে যায় ইতালি। তবে সেই আনন্দ বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ৮৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। আর ৮৯ মিনিটে পেরেৎসের হেডে আবারও সমতায় ফেরে ইসরায়েল। নির্ধারিত সময়ে ৪-৪ গোলে সমতা।
তবে যোগ করা সময়ে শ্বাসরূদ্ধকর এই ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন সান্দ্রো তোনালি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তার দুর্দান্ত শটে জয় নিশ্চিত করে ইতালি।
এই জয়ে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে 'আই' গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে ইতালি। সমান পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে এক ধাপ পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে ইসরায়েল। চার ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে।
ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১২টি গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। আর গ্রুপ রানার্সআপদের প্লে-অফ খেলে মূলপর্বের টিকিট পেতে হবে।