নতুন নামে দেশের ফুটবলের শীর্ষ লিগ মাঠে গড়াচ্ছে আজ

দেশের ফুটবলে প্রাণের সঞ্চার ঘটছে, ফুটবলকে নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। নতুন নামে বাংলাদেশের ফুটবলের শীর্ষস্তরের লিগ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নামে যে লিগ চলছিল, তার নতুন নাম রাখা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল লিগ (বিএফএল)। ১২ বছর পর ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগিতার নাম পরিবর্তন হলো।
মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে বিএফএল মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আজ । উদ্বোধনী ম্যাচে মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জের মুখোমুখি হবে গত আসরের রানার্সআপ আবাহনী। আরেকটি ম্যাচ হবে নতুন ভেন্যু মানিকগঞ্জে। সেখানে শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স খেলবে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও ক্লাব প্রতিনিধিদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বিএফএলের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
বাফুফে পেশাদার লিগ শুরু করে ২০০৭ সালে। প্রথমে এর নাম ছিল ‘বি লিগ’। কিন্তু বহির্বিশ্বে ‘বি’ লিগ বলতে দ্বিতীয় স্তরের লিগ বোঝানো হয়, তাই ২০০৮ সালে তখনকার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন লিগের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ লিগ’ রাখেন। পরে ২০১১ সালে তা আবার বদলে ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ’ নামকরণ করা হয়।
এতদিন ‘বিপিএল’ নামে চললেও, দেশের ক্রিকেটের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সঙ্গে নামের মিল থাকায় অনেক সময় বিভ্রান্তি হতো। যে কারণে নতুনভাবে ফুটবল লিগের ব্র্যান্ডিং করতে এবার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাফুফে। নতুন নামের সঙ্গে সঙ্গে লিগের লোগোতেও পরিবর্তন আসছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিএফএর-এর স্পন্সরের নাম ঘোষণা করা হয়নি। আগের স্পন্সর বসুন্ধরা গ্রুপের পরিবর্তে এবার নতুন কোনো স্পন্সর আসতে যাচ্ছে।
দেশের পেশাদার ফুটবল লিগের ১৭তম আসর এটি। এর আগে অনুষ্ঠিত ১৬টি আসরের মধ্যে সবচেয়ে সফল দল আবাহনী লিমিটেড, ৬ বার শিরোপা জিতেছে তারা। ৫টি শিরোপা নিয়ে তাদের পরেই রয়েছে বসুন্ধরা কিংস। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩ বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এছাড়া শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড একবার করে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে। তবে ২০১৯-২০ মৌসুমে করোনা মহামারির কারণে মাঝপথেই বাতিল করা হয়েছিল আসরটি।