তাইওয়ানকে ফের অস্ত্র সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/05/07/taiwan-thumb.jpg)
তাইওয়ানকে সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। তাইওয়ানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য যে মার্কিন জরুরি কর্তৃপক্ষ কাজ করছে, সেই কর্তৃপক্ষটিই ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য ৩৫ বারেরও অধিক কাজ করেছে। বিষয়টি সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
নিরাপত্তা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমতা পিডিএ প্রয়োগ করে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই দেশটির মজুত থেকে যে কোনো সম্পদ বিদেশি রাষ্ট্রকে দিতে পারেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ বার এই বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছেন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ২০২৩ সালের বাজেটে তাইওয়ানকে সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র দেওয়ার জন্য কংগ্রেসে নিজের পিডিএ ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন প্রেসিডেন্ট।
তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এর জেরে গত তিন বছরে তাইওয়ানের ওপর সামরিক চাপ বাড়াচ্ছে বেইজিং।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ। এরপরেই দ্বীপটির চারপাশে যুদ্ধ মহড়া করে চীন।
রয়টার্স বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে তাইওয়ানকে সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সিনেট আর্মড সার্ভিস কমিটির বৈঠকের আগে তিনি এমনটি জানিয়েছিলেন। তবে, তাইওয়ানকে অস্ত্র সহায়তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পেন্টাগনের এক মুখপাত্র। ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দীর্ঘস্থায়ী ও মার্কিন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ...আমরা টিআরএর (তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট) অধীনের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’
১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে টিআরএ সমঝোতা হয়। ওই সমঝোতা অনুযায়ী, তাইওয়ান নিজের আত্মরক্ষার জন্য যেকোনো কাজ করতে পারবে। তবে, তাইওয়ান আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে বাধ্য নয়।
তাইওয়ানকে অস্ত্র সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র, এই খবরটি প্রথম জানিয়েছিল ব্লুমবার্গ। তবে, সহায়তা প্যাকেজে কী কী অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা স্পষ্ট করা ছিল না।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/05/07/taiwan-in.jpg)
দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনছে তাইওয়ান। তবে, সর্বশেষ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল এই দেশটি। ওই সময় তারা বলেছিল, নির্ধারিত সময়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষ স্টিঞ্জারের মতো বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিতে দেরি করছে। কারণ, উৎপাদনকারীরা ইউক্রেনমুখী হয়ে রয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বেশ কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতা।