যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্কের হুঁশিয়ারি কানাডা ও মেক্সিকোর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/02/trudo.jpg)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কানাডা ও মেক্সিকো। কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দেশ দুটি এমন হুঁশিয়ারি দিল। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১৫৫ বিলিয়ন ডলার সমমানের যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই শুল্ক পর্যায়ক্রমে আরোপ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপর এবং পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে বাকি ১২৫ ডলারের ওপর কার্যকর হবে।
আমেরিকান বিয়ার, ওয়াইন, ফল, ফলের জুস, ভেজিটেবল, পারফিউম, পোশাক, জুতা, খেলাধুলার সামগ্রী, ফার্নিচার, প্লাস্টিক ও হাউজহোল্ড আইটেমের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানান জাস্টিন ট্রুডো।
এক সংবাদ সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমরা এটা করতে চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানদের স্বপক্ষে দাঁড়ানো এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সফল অংশীদারত্বের জন্য আমরা পিছু হটবো না।’
এক শতাংশেরও কম ফ্যান্টালিন (মাদক) কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যায়। কানাডা থেকে এক শতাংশেরও কম অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে যায় বলে দাবি করেন ট্রুডো।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প যেসব অভিযোগ তুলেছেন সেগুলোকে ‘অপবাদ’বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যের ওপর ব্যাপক হারে করারোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসী ও মাদকের মতো ‘বড় হুমকি’মোকাবিলা করতে জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহারের অংশ হিসেবে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সিদ্ধান্ত অনুসারে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে রপ্তানি করা পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের মুখে পড়বে। চীন থেকে আসা পণ্যগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন হারে শুল্ক আরোপের মুখে পড়লেও সেগুলোতে আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। শুল্কের এই নতুন হার আগামী মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/02/usa-canada-inner.jpg)
হোয়াইট হাউস জানায়, এই শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হলো—যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন এবং বিষাক্ত ফ্যান্টালিন ও অন্যান্য মাদকের প্রবাহ বন্ধ করতে ওই দেশগুলোর দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তাদেরকে আরও দায়িত্বশীল করে তোলা।
ওয়াশিংটন মেক্সিকো সরকারকে মাদক পাচারকারী চক্রের সঙ্গে ‘অসহনীয় সংশ্লিষ্টতার’বিষয়েও অভিযুক্ত করে আসছে। শুল্ক আরোপের এই ঘোষণা জ্বালানি থেকে শুরু করে যানবাহন এমনকি খাদ্য প্রক্রিয়া শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে।
ওয়াশিংটন মেক্সিকো সরকারকে মাদক পাচারকারী চক্রের সঙ্গে ‘অসহনীয় সংশ্লিষ্টতার’বিষয়েও অভিযুক্ত করে আসছে। শুল্ক আরোপের এই ঘোষণা জ্বালানি থেকে শুরু করে যানবাহন এমনকি খাদ্য প্রক্রিয়া শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে।