বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও  হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে একটি বার্তা পরিষেবা চালু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সহজেই ব্যবহারযোগ্য এই বার্তা পরিষেবাটি দুই বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সরাসরি পৌঁছাতে সক্ষম হবে বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের কাছে এই বার্তা পরিষেবাটি করোনভাইরাস সম্পর্কে সর্বশেষতম সংবাদ এবং তথ্য সরবরাহ করবে। যাতে করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো বিস্তারিতভাবে এবং কীভাবে মানুষ নিজেকে ও অন্যকে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কবল থেকে সুরক্ষা দিতে পারে সে সম্পর্কে বলে দেওয়া থাকবে।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি ‍করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৯৮ জনে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮৭১ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে এক লাখ ৭২ হাজার ৫৬১ জন চিকিৎসাধীন এবং সাত হাজার ৭৬৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক লাখ তিন হাজার ৩১০ জনের মধ্যে ৯১ হাজার ৯১২ জন (৮৯ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং ১১ শতাংশ রোগী মারা গেছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস।

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।