‘হে ঈশ্বর! হাঁটু দেখা যাচ্ছে’, মোদিদের ছবি টুইট করে কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/03/19/priyanka.jpg)
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ‘ছেঁড়া-ফাটা জিন্স’ মন্তব্য নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াতের স্ত্রী স্বামীর হয়ে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিতর্কের আগুন এতটুকু কমেনি। এবার ‘ছেড়া জিন্স’ নিয়ে বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) খোঁচা দিলেন কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িদের পুরনো ছবি টুইট করে কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কার কটাক্ষ, ‘হে ঈশ্বর! তাঁদের হাঁটু দেখা যাচ্ছে।’ সেইসঙ্গে জুড়েছেন অবাক হওয়ার তিনটি ইমোজি। ব্যঙ্গ করেই যে প্রিয়াঙ্কার এমন টুইট, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রিয়াঙ্কার টুইট করা ছবিতে মোদি, গড়কড়িদের সাদা জামা ও খাকি হাফপ্যান্ট পরে থাকতে দেখা গেছে, যা আরএসএসের পুরোনো পোশাক। একটি ছবিতে সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতকেও দেখা যায়।
সদ্য উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদাসীন হয়েছেন তিরথ সিং রাওয়াতে। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার দেরাদুনে উত্তরাখণ্ডের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন আয়োজিত একটি কর্মশালায় গিয়ে তিরথ মন্তব্য করেন যে, ছেঁড়া জিন্স পরে নারীরা বাড়িতে বাচ্চাদের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে পারছেন না। তিরথ বলেন, ‘ছেঁড়া ডেনিম পরছেন, হাঁটু দেখা যাচ্ছে। এই মূল্যবোধই দেওয়া হচ্ছে এখন। কোথা থেকে শেখানো হচ্ছে এসব? স্কুল বা শিক্ষকদের কি কোনো ভুল রয়েছে? আমরা ছেলেদের ছেঁড়া জিন্স পরিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি? মেয়েরাও ছেঁড়া জিন্স পরছে। এটা কি ভালো? সবাই পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে দৌড়াচ্ছেন। যেখানে পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের যোগাসনকে অনুসরণ করছে, সেখানে কেন ভারতীয়রা ছেঁড়া জিন্স পরছে?’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/03/19/priyanka-inside.jpg 687w)
তিরথের এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। নারীরা ছেঁড়া জিন্স পরে ছবি পোস্ট করেছেন। তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, অভিনেত্রী জয়া বচ্চনেরাও।
অবশ্য তিরথের হয়ে সাফাই গেয়েছেন তাঁর স্ত্রী রশমি ত্যাগী। তিনি দাবি করেন, ‘উনি (তিরথ) বলছিলেন যে, আমরা অন্ধের মতো কীভাবে পশ্চিমা সংস্কৃতি পেছনে দৌড়াচ্ছি। হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের নিজেদের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা অনুসরণ করছি না। কিন্তু তাঁর একটি শব্দ তুলে ধরা হয়েছে এবং প্রসঙ্গ ছাড়াই তা বলা হয়েছে। ভুলভাবে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’