সন্ত্রাসবাদ দমনে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আইন

সন্ত্রাসবাদ নতুন আইন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। আজ শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল জর্জ ব্র্যান্ডিস। এই আইনের আওতায় কঠোর করা হবে সামাজিক যোগাযোগ, পর্যটন ও বেশ কিছু ক্ষেত্রের নিয়মকানুনন। অনলাইনে চরমপন্থীদের প্রচারণাও শক্ত হাতে দমন করা হবে বলেও সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। চরমপন্থাবিরোধী নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথাও রয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে, আন্তর্জাতিক কাউন্টার টেরোরিজম প্রচারণা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি শীর্ষক এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল জর্জ ব্র্যান্ডিস বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা কোনো অস্ট্রেলীয় ইরাক কিংবা সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নিলে তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের জন্যও আইন পাস করবে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
জর্জ ব্র্যান্ডিস আরো বলেন, ইরাক কিংবা সিরিয়া যুদ্ধফেরত অস্ট্রেলীয়দের নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার। নতুন আইনের ফলে অন্তত ৫০ জন যুদ্ধফেরত অস্ট্রেলীয় তাঁদের নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। যাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে সন্ত্রাসবাদের জন্য কাজ করবেন, তাঁদেরও এই আইনে বিচার করা হবে। ২০১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক ইসলামিক স্টেট (আইএসে) যোগ দিতে শুরু করে।
এর আগে গত মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবেই নতুন আইন করা হচ্ছে। জুনের মধ্যেই বিলটি সংসদে পাস হবে। তিনি বলেন, অন্তত ১০০ জন অস্ট্রেলীয় নাগরিক সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৫০ জনের বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়া থেকে সন্ত্রাসীদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে এরই মধ্যে দেশটিতে ১০০ পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।