অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাংকঋণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নজরদারি

সুদের হার বৃদ্ধি ও কিছু এলাকায় সম্পত্তির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যায় আছে অস্ট্রেলিয়া। একটি মাত্র শিল্পের ওপর নির্ভরশীল, বেকারত্বের হার বেশি, জমিসহ অন্যান্য সম্পত্তির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে— অস্ট্রেলিয়ার এমন এলাকায় ব্যাংকের ব্যক্তিগত ঋণ প্রদান বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি এলাকা চিহ্নিত করে নজরদারি করছে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ব্যাংক (এনএবি)। এলাকাগুলোর নাম প্রকাশিত না হলেও বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য এলাকাগুলোর কথা জানিয়েছেন।
এনএবির প্রধান ঝুঁকি নিরূপণ কর্মকর্তা ডেভিড গেল বলেন, সুদের হার বৃদ্ধি ও বেকারত্ব অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা। চাপ সৃষ্টিকারী অস্ট্রেলিয়ার আড়াই হাজার এলাকার ক্ষুদ্র পর্যায়ের ঋণ পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
৪০টি এলাকার ব্যাংকে ঋণ আবেদন নিয়ে নিরীক্ষা করছে এনএবি। ঋণের অর্থের বিপরীতে যে সম্পত্তি দেখানো হচ্ছে তার মূল্য বাড়ানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেভিড গেল বলেন, চিহ্নিত স্থানগুলোতে সম্পত্তির মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা দেখা গেছে।
গেল বলেন, একটি নির্ধারিত শিল্পের ওপর নির্ভরশীল, বেকারত্ব বেশি বা বেকারত্ব বাড়তে পারে এমন এলাকা এনএবির নজরে থাকবে। একই সঙ্গে নাটকীয়ভাবে সম্পত্তির দাম বেড়ে যাওয়া এলাকাগুলোর ব্যাপারেও তদন্ত হবে।
এনএবি ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের তালিকা প্রকাশ না করলেও তাদের নীতির ওপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞরা কিছু এলাকা চিহ্নিত করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ডিজিটাল ফাইন্যান্স গবেষক মার্টিন নর্থ বলেন, ব্লাকভিল, কারোনা, কলি ব্লু, পাইন রিডজ, কুয়াই রিনডি, স্প্রিং রিডজের ব্যাংকগুলোকে সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়া সতর্ক থাকতে হবে গ্রেটা, রিভারস্টোন, মাউন্ট আনান, অবার্ন, ব্লাক্সল্যান্ড, চিপিং নরটন, বেরালা ও ব্রাস হিলের ব্যাংকগুলোকে। আর মেলবোর্নে সতর্ক থাকতে হবে অ্যাবারফেলডি, এসেনডন, ওয়েস্ট এসেনডন, গ্লাডস্টোন পার্ক গাওয়ানব্রেসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অংশে নজরদারির কথা জানালেও এনএবি মনে করে, কিছু খারাপ ঋণ রয়েই যাবে। আর পুরো ব্যবস্থা পুরোপুরি ঠিক হতে বেশ সময় নেবে।