অস্ট্রেলিয়ায় ভিক্টোরিয়ার জন্য ইতিবাচক হবে সিরীয় শরণার্থীরা

অস্ট্রেলিয়ায় ভিক্টোরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সিরীয় শরণার্থীদের পুনর্বাসন করা হলে ওই অঞ্চলের মানুষই উপকৃত হবে। শরণার্থীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসতি গড়ার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। ভিক্টোরিয়ার আদিবাসী সংম্প্রদায়ের সংগঠন ‘ইথিনিক কমিউনিটিস কাউন্সিল’-এর পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ‘ইথিনিক কমিউনিটিস কাউন্সিল’ একটি বেসরকারি সংগঠন যা দেশটির আদিবাসী মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে।
দ্য অস্ট্রেলিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরীয় শরণার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় দিতে রাজ্য ও সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ভিক্টোরিয়ার ইথিনিক কমিউনিটিস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এডি মিকালেফ। তিনি বলেন, ভিক্টোরিয়া রাজ্যে এবং এখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সিরীয় শরণার্থীদের প্রতি যথেষ্ট সমর্থন আছে। সিরীয় শরণার্থীরা রাজ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবাস গড়তে পারে।
সিরীয় শরণার্থীদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নীতি কেমন হবে এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সরকারের জোটের এমপিরা। তবে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট জানিয়েছেন, ঠিক কত সিরীয় শরণার্থী নিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। আর অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ভিক্টোরিয়ার ইথিনিক কমিউনিটিস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এডি মিকালেফ বলেন, নথিপত্রেই এটি প্রমাণিত যে, অভিবাসীরা যে অঞ্চলে আবাস গড়ে তোলে সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। একই সঙ্গে মানবিক আবেদনে সারা দেওয়া অস্ট্রেলিয়ার জন্য জরুরি। তাই সিরীয় শরণার্থীদের পুনর্বাসন করতে হবে মেলবোর্ন শহরের বাইরে ভিক্টোরিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয়। তিনি আরো বলেন, শরণার্থীরা তাঁদের দক্ষতা ও সংস্কৃতি নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় আসবে। তাদের জন্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব রাখবে। এর আগেও শরণার্থীদের নিয়ে সাফল্যের নিদর্শন আছে ভিক্টোরিয়ায়।
দ্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কত সংখ্যক সিরীয় শরণার্থীকে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হবে এ নিয়ে আজও ক্ষমতাসীন দলের বৈঠক হয়েছে। এখানে ৩০ হাজার পর্যন্ত সিরীয় শরণার্থী নেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে।