অস্ট্রেলিয়ায় টনি অ্যাবটের প্রধানমন্ত্রিত্ব হুমকির মুখে

মাসখানেকের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় হুমকির মুখে পড়তে পারে টনি অ্যাবটের প্রধানমন্ত্রিত্ব। পার্থের ক্যানিংয়ে পুনর্নির্বাচনের আগমুহূর্তে সরকারবিরোধী মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ দলের মধ্যে তাঁর প্রতি বিরোধিতা লক্ষ করা গেছে। অ্যাবটবিরোধীরা সাবেক নেতা ম্যালকম টার্নবুলকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে চাইছেন।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাবটপন্থী ও অ্যাবট-বিরোধী লিবারেল পার্টির উভয় অংশই মনে করে চলতি বছরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রিত্বে পরিবর্তন আসতে পারে।
টনি অ্যাবটের প্রতি দলের কিছু সদস্যদের বিরূপ মনোভাব উসকে দিয়েছে সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ক্যানিংয়ের নির্বাচনকে সামনে ওই এলাকার এক হাজার তিনজনের ওপর সমীক্ষা চালায় ফেয়ারফ্যাক্স-ইপসোস। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ওই নির্বাচনী এলাকায় লিবারের পার্টির অবস্থান ঝুঁকির মুখে। সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতি জনগণের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে সমীক্ষার দাবি।
২০১৩ সালে ক্যানিংয়ের নির্বাচনে সাবেক লিবারেল নেতা ডন র্যান্ডেল পেয়েছিলেন ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। ফেয়ারফ্যাক্স-ইপসোস সমীক্ষায় বলা হয়, বর্তমানে লিবারেল পার্টির সমর্থন কমে দাঁড়িয়েছে ৫২ শতাংশ। অপরদিকে লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, ভুল বা তথ্য বিভ্রাটের কারণে ফেয়ারফ্যাক্স-ইপসোস সমীক্ষায় ফলাফলের সঙ্গে যোগ বা বিয়োগ করতে হবে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
সমীক্ষার ওই তথ্যের মানে হলো, ২০১৩ সালে ক্যানিংয়ের নির্বাচনে লিবারেলকে ভোট দেওয়া প্রতি ছয়জনের একজন এবার অন্য দলকে ভোট দেবেন।
অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টির একটি অংশ জানিয়েছে, ভোটারদের মধ্যে টনি অ্যাবটবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে যা দলের ভাবমূর্তির জন্য নেতিবাচক। বর্তমান পরিস্থিতি কোনো কিছু না করা দলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই পরবর্তী বড় নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে অন্য কাউকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা হচ্ছে।
তবে লিবারেল পার্টির অনেকে ফেয়ারফ্যাক্স-ইপসোস সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ওই সমীক্ষা করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর। ওই সময় সিরীয় অভিবাসীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে অ্যাবটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল। সেই সময়ে তাঁর দলের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার প্রশ্ন উঠতেই পারে না।