অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দলের সবার গ্রহণযোগ্য যে নেত্রী

২০০৯ সালে তিনি ছিলেন ম্যালকম টার্নবুলের নির্ভরযোগ্য ডেপুটি। টার্নবুলকে সরিয়ে দিয়ে নেতৃত্বে আসা টনি অ্যাবটের মন্ত্রিসভায়ও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। পরে আবার নেতৃত্বে ফিরে আসা টার্নবুলের পাশে তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন হলেও নেতৃত্বের সব সময়ই কাছাকাছিই জুলি বিশপ। ২০০৭ সাল থেকেই গ্রহণযোগ্য এই লিবারেল নেত্রী দলটির ডেপুটি লিডার।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন এসেছে। দলের মধ্যে ভোটাভুটিতে টনি অ্যাবটকে সরিয়ে দিয়েছেন ম্যালকম টার্নবুল। আর টনি অ্যাবটের সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা জুলি বিশপ সমর্থন দিয়েছেন টার্নবুলকেই। ২০০৯ সালে টার্নবুলকে সরিয়ে নেতৃত্বে আসা অ্যাবটের সময়ও তিনি টার্নবুলকেই সমর্থন দিয়েছিলেন। পরে অ্যাবটের সময় ডেপুটি থাকা বিশপ হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০০৭ থেকে ২০১৫—এই আট বছরে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের নেতৃত্বে এসেছেন ব্র্যান্ডন নেলসন, ম্যালকমল টার্নবুল ও টনি অ্যাবট; সবশেষে আবার টার্নবুল। তবে দলের ডেপুটি লিডারের আসনে ২০০৭ সাল থেকেই জুলি বিশপ। সব সময়ই নেতৃত্ব ও দলের সদস্যদের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
লিবারেল দলের অনেক নেতার মতে, সাম্প্রতিক ভোটে টার্নবুলের ফিরে আসায় প্রভাব রেখেছেন জুলি বিশপ। শেষ সময়ে টনি অ্যাবট থেকে সরে এসে টার্নবুলকে সমর্থন করেন তিনি। এই সমর্থন দলের সদস্যদের মধ্যেও টার্নবুলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রভাব ফেলেছে।
কয়েকজন লিবারেল নেতা বলেন, দলের মধ্যে ভোটের আগে টনি অ্যাবটের সঙ্গে দেখা করেন জুলি বিশপ। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারানোর কথা জানিয়ে তিনি অ্যাবটকে পদত্যাগ বা ভোটের আহ্বান জানান। অ্যাবট দ্বিতীয় পন্থা বেছে নেন। তবে ওই ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে দলের নেতৃত্বে আসেন ম্যালকম টার্নবুল। আর দলের নেতৃত্ব থাকা ব্যক্তিই হন প্রধানমন্ত্রী।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যালকমের প্রতি সমর্থন দিয়ে নিজের অবস্থানও হুমকির মুখে ফেলেন জুলি বিশপ। টনি অ্যাবট টিকে থাকলে তিনিই হয়তো আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকতে পারতেন না। এর আগে জুলি বিশপ জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকা তাঁর অন্যতম একটি স্বপ্ন।