অস্ট্রেলিয়ায় নারী মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ছে

অস্ট্রেলিয়ায় মন্ত্রিসভায় নারীর সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে দ্বিগুণ হতে পারে। নতুন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন টার্নবুল।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের মধ্যে এক ভোটাভুটিতে টনি অ্যাবটকে সরিয়ে নেতা নির্বাচিত হন ম্যালকম টার্নবুল। আর ডেপুটি যথারীতি জুলি বিশপ। পরে নিয়ম অনুযায়ীই প্রধানমন্ত্রী হন টার্নবুল। এই পরিবর্তনে দলের মধ্যে যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে তা নিরসনে নারী মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনকেই টার্নবুলের প্রথম পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন অস্ট্রেলীয়রা। মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য আনতে টার্নবুলকে বেশ সতর্কই থাকতে হবে। তবে এটি অনেকটাই নিশ্চিত যে তিনি কয়েকজন নারীকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করতে যাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার মতে, জনসেবা মন্ত্রী মেরিস পেইন ও সহকারী অভিবাসনমন্ত্রী হিসেবে মিখায়েলা ক্যাশকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হতে পারে। এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় আরো যুক্ত হতে পারেন টার্নবুলের সমর্থক কেলি ও’ডয়ার, রক্ষণশীল কনসেট্টা ফিয়েরাভানটি-ওয়েলস।
টার্নবুলের পূর্বসূরি টনি অ্যাবট মন্ত্রিসভায় একজনমাত্র নারী মন্ত্রী নেওয়ার কারণে বেশ সমালোচিত হন। তাঁর সময়ে শুরুতে একমাত্র নারী মন্ত্রী ছিলেন দলের ডেপুটি লিডার জুলি বিশপ। পরে অবশ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন সুসান লে।
টনি অ্যাবটের সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ টার্নবুলের মন্ত্রিসভায়ও যে থাকছেন এটি নিশ্চিত। তবে হয়তো মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তন হতে পারে। এ ছাড়া অ্যাবটের সময়কার আরো কয়েকজন মন্ত্রীও টার্নবুলের মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। সাবেক ‘ট্রেজারার অব অস্ট্রেলিয়া’ জো হকি হয়তো টার্নবুলের আমলে প্রতিরক্ষা বা যোগাযোগমন্ত্রী হতে পারেন। তবে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে পারেন এরিক অ্যাবেটজ বা কেভিন অ্যান্ড্রুজের মতো অ্যাবটের কিছু নির্ভরযোগ্য মন্ত্রী। একই ভাগ্য হয়তো বরণ করতে হবে সম্প্রতি বিতর্ক সৃষ্টিকারী পিটার ডাটনকেও।