ভারতে পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন আরও ৪১ লেখক

পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া সম্মান ও খেতাব ফেরত দেওয়ার যেন হিড়িক পড়েছে ভারতে। লেখক সারা জোসেফের ২০০৩ সালের পাওয়া সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার পর সর্বশেষ সেই তালিকায় সামিল আরও ৪১ লেখক ও সাংবাদিক।
ভারতে অসহিষ্ণুতা বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে এই সাংবাদিক ও লেখকরা তাদের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ফেরত দেবেন।ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধর্মভিত্তিক এসব সহিংসতা বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ তাদের। এ ছাড়া টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের আরো কয়েকজন লেখক ও শিল্পী তাদের পুরস্কার ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অল ইন্ডিয়া রেডিওর খবরের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের সাংবাদিক ও লেখক ইবরাহিম আফগান ও আরো সাত লেখক ও শিল্পী গতকাল বলেছেন, তারা রাজ্য থেকে পাওয়া পুরস্কার ও পুরস্কার মূল্য ফেরত দেবেন। আফগান বলেন, তিনি তার সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ও উর্দুতে লেখার জন্য আরো একটি পুরস্কার ফেরত দেবেন।
গায়ক ও সংগীতজ্ঞ শাহির শম্ভুজি ভগতও তার পুরস্কার ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চলতি বছর নাগরিক চলচ্চিত্রের জন্য তিনি এ পুরস্কার পান। ভগত বলেন, যুক্তিবাদীদের হত্যা, দাদরিকে পিটিয়ে হত্যা এবং বিজ্ঞান, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা সর্বোপরি মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে এটা আরো একটা পদক্ষেপ।
আরেক লেখক রাজীব নায়েকও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৮৯ সালে তিনি এ পুরস্কার পান।
পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক মুকুন্দ কুলে বলেন, তিনি পুরস্কার মূল্য এক লাখ রুপির পাশাপাশি দুটি পদক ফেরত দিতে চান। সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতার ওপর লেখা দুটি বইয়ের জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।
লেখক ও সমালোচক মিলান্দ মালশেও পুরস্কার ফেরত দিতে চান। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মুসলিম সত্যসাধক মন্ডলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ ভাই ও প্রখ্যাত লেখক উর্মিলা পাওয়ার তাদের পুরস্কার ফেরত দেবেন। জয়সিংপুরের মোহন পাতিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখেছেন, তিনি পুরস্কার ফেরত দেবেন।
সঞ্জয় ভাস্কর জোসি বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর খরা ত্রাণ তহবিলে পুরস্কার ও পুরস্কার মূল্য ২০ হাজার রুপির সঙ্গে আরো ৮০ হাজার রুপি যোগ করে মোট এক লাখ রুপী দেবেন।