বাংলাদেশের বন্ধুর ছেলে হচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

কানাডায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধী লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো (৪৩) জয়লাভ করতে যাচ্ছেন। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা স্টিফেন হারপারকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করছেন বলে প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে। এর মাধ্যমে কনজারভেটিভদের (রক্ষণশীল) ১০ বছরের শাসনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিশেষ অবদানের জন্য যে ১২৯ জন বিদেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননা পদক দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে জাস্টিনের বাবা পিয়ের ট্রুডো একজন। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নির্বাচনে ‘নিশ্চিত’ জয়লাভের পর জাস্টিন বাজেট ঘাটতি পূরণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবারের নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। পার্লামেন্টের ৩৩৮ আসনের মধ্যে লিবারেলের প্রার্থীরা ১৪০টি আসনে জয়লাভ করেছেন।
আরো ৫১টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে তাঁরা পার্লামেন্টের ১৯১টি আসনে জয়লাভ করতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৭০টি আসন। এর মানে ট্রুডো নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন লাভের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছেন। রক্ষণশীল দল ১৯৮৪ সালে ১১১টি আসনে জয় পেয়েছিল।
রক্ষণশীলরা এ নির্বাচনে ৮১টি আসন পেয়েছে। আরো ২৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের দখলে আসবে ১০৪টি আসন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অভূতপূর্ব এই জয়লাভের মাধ্যমে ট্রুডো পরিবার আবারো কানাডার ২৪ সাসেক্স ড্রাইভে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ফিরতে যাচ্ছে। জাস্টিনের বাবা এখানে ১২ বছর কাটিয়ে গেছেন।
১৯৭১ সালে ক্রিসমাস ডে-তে জন্মগ্রহণ করেন জাস্টিন। ১৯৮৪ সালে তাঁর বাবা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি পাদপ্রদীপে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।