অস্ট্রেলিয়ায় বিভক্ত বিএনপির একজোট হতে সমঝোতা

দীর্ঘ এক যুগের বিভক্ত থাকা অস্ট্রেলিয়া বিএনপির বরফ গলতে শুরু করেছে। আর এই সমঝোতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির কয়েকজন সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতা। এ ছাড়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
অস্ট্রেলিয়া বিএনপি দীর্ঘদিন চার ভাগে বিভক্ত ছিল। সর্বশেষ ২০০২ সালে যে বিভেদ শুরু হয়েছিল তা থেকে গত ১৩ বছরেও সমঝোতায় আসেনি অস্ট্রেলিয়া বিএনপি।
অস্ট্রেলিয়া বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ জিয়া ফাউন্ডেশন থেকে কিছু নেতা-কর্মী বের হয়ে শুরু করেন আরো একটি গ্রুপ বা বিএনপি তৃতীয় পক্ষ। এই পক্ষকে সমর্থন দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের ঘনিষ্ঠরা। গত বছর সাবেক কমিটির আহ্বায়ক দেলায়ার হোসেনের কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া বিএনপি আরো দুই ভাগে বিভক্ত হয়। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় একই দিনে ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করত বিএনপির বিভিন্ন অংশ।
অস্ট্রেলিয়ায় বিভক্ত বিএনপিকে কর্মসূচির অস্থিরতা থেকে মুক্ত হতেই সমঝোতা। সমঝোতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা ও অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুল হক জর্জকে আহ্বায়ক ও সোহেল মাহমুদকে দপ্তর সম্পাদক করে ৯০ দিনের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। তবে, বর্তমান সমঝোতায় এখন বাদ পড়েছে আরো দুটি বিভক্ত বিএনপির অংশ। অচিরেই সব দলের অংশগ্রহণে তৈরি হবে মূল কমিটি। আজকের সংবাদ সম্মেলনে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়া কেন্দ্রিক ভবিষ্যৎ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা।
আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের ভোটের সুরক্ষা, পেনশনব্যবস্থা ও বাংলা কালচার এই প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি। বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
বিএনপির একজোট উপলক্ষে আয়োজিত সিডনির সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন শহর ও গ্রুপের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ডা. আবদুল ওহাব বকুল, মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর রহুল আমিন সওদাগর, লুতফুর কবির, ফজলুল হক শফিক, ডা. জাহিদুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন মনি, আবুল হাছান, আবদুল মতিন উজ্জ্বল, কায়েস মাহমুদ জনি প্রমুখ।