অস্ট্রেলিয়ায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিমানযাত্রার নিষেধাজ্ঞার হার দ্বিগুণ

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানের পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদ দমনে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিমান বা দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের শেষ দিকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া এমন ব্যক্তিদের সংখ্যার হার দ্বিগুণ হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্স আজ রোববার জানিয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ের শুরু থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিমানবন্দর বা বিমান থেকে ৩১২ জন সন্দেহভাজনকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত চার মাসে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া সন্দেহভাজনের সংখ্যা ১৯৯ জন। জুলাইয়ের আগে ১২ মাস সময়ে বিমানবন্দর বা বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া সন্দেহভাজনের সংখ্যা ছিল ৩৩৬ জন। অর্থাৎ, গত সাত মাসে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার সংখ্যা আগের ১২ মাসের সমান।
গার্ডিয়ান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় সরকার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশের কোনো নাগরিককে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সুযোগ দিতে নারাজ। ধারণা করা হয়, জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন সন্দেহভাজনরা বিমানপথে অস্ট্রেলিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপের কোনো দেশ হয়ে ইরাক বা সিরিয়ায় যেতে পারে। সেখানে তারা আইএসেও যোগ দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে কতজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অনেকেই হয়তো আবার বিমানযাত্রার সুযোগ পেয়েছে। অনেকের ওপর থেকে সন্দেহ দূর হওয়ার পর বিমানে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটির ১২০ জন নাগরিক পালিয়ে ইরাক ও সিরিয়া গিয়ে আইএসের পক্ষে লড়ছে। আরো ১৬০ অস্ট্রেলীয় নাগরিক দেশে থেকেও জঙ্গিবাদের সমর্থন ও অর্থায়ন করছে।