অভিবাসন সমস্যা নিয়ে ইইউর জরুরি বৈঠক

অভিবাসন সমস্যা নিয়ে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের মধ্যে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে নেতারা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম অভিবাসন নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে ইউরোপ।
বিবিসি জানিয়েছে, ইইউর পক্ষ থেকে তুরস্ককে ৩০০ কোটি ইউরো দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এর বিনিময়ে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের থাকার ব্যবস্থা করবে তুরস্ক। একই সঙ্গে দেশটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে ঢোকার হার কমাবে।
জানা গেছে, গত বছর ১০ লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকায় করে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এদের অধিকাংশই তুরস্ক ও গ্রিস হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিস ও মেসিডোনিয়ার সীমান্ত হয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছে।
মানবপাচার রোধে সামরিক জোট ন্যাটোর অভিযান এজিয়ান সাগরেও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইইউর সীমান্ত বাহিনী ‘ফ্রন্টেক্সে’র সঙ্গে একযোগে কাজ করবে ন্যাটো বাহিনী।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সমুদ্রপথে নিরাপত্তা ও মানবপাচার রোধে জার্মানি, কানাডা, তুরস্ক ও গ্রিসের সঙ্গে তাদের উভচর জাহাজ (অ্যাম্ফিবিয়ান শিপ) যুক্ত হবে।
সিরিয়া ও ইরাকের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথে তুরস্ক থেকে গ্রিসের কোনো দ্বীপে আসেন। এই পথে সাগরে নৌকা ডুবে অনেক শিশু মারা যায়।
জানা গেছে, জার্মানি ও ডেনমার্কের আহ্বানে নিজের জলসীমায় আটক হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছে তুরস্ক।
প্রথম থেকেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে কিছু মতপার্থক্য ছিল। অন্য দেশগুলোর চেয়ে জার্মানি ও সুইডেন অভিবাসী গ্রহণে নমনীয়তা দেখায়।