সৌদি আরবের ‘মিস্টার এভরিথিং’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/04/26/photo-1461667836.jpg)
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। মাত্র ৩০ বছর বয়সী এই সৌদি যুবরাজ বিশ্বের কূটনীতিকদের কাছে ‘মিস্টার এভরিথিং’ বলে পরিচিত। সৌদি আরবে তাঁর প্রভাবের কারণেই এমন নাম।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গতকাল সোমবার তেলনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তনে বিশদ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। ধারণা করা হয়, এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই যুবরাজ এখন সৌদি সিংহাসনের দ্বিতীয় দাবিদার। বাদশাহ সালমানের গত বছর সিংহাসনে আরোহণের পর এমন উত্থান হয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমানের।
বর্তমান মোহাম্মদ বিন সালমানকে বলা হয় সৌদি আরবের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। শুধু সৌদি অর্থনীতিই নয়, দেশটির সামরিক এবং প্রতিরক্ষা বিষয়েও বেশ প্রভাবশালী মোহাম্মদ।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ফ্রেডরিক ওয়েহরেই বলেন, গত বছর কিং আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর সৌদি বাদশাহ হন তাঁর ভাই সালমান। এর পর থেকেই তাঁর ছেলে মোহাম্মদ বেশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।
পশ্চিমা এক কূটনীতিকের মতে, মোহাম্মদ বেশ চতুর ও বুদ্ধিমান এবং ৮০ বছরের পুরোনো রাজ্যের ওপর বেশ প্রভাব আছে তাঁর।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমান ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলার বিষয়টি দেখাশোনা করেছেন।
জানা গেছে, সৌদি আরবের কাউন্সিল অব ইকোনমিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার নামক গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বিন সালমান। একই সঙ্গে তিনি সৌদি আরবের বাইরে দেশটির তেলবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সৌদি অ্যারামকোর গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছেন।
ব্লুমবার্গ বিজনেস উইকের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি প্রিন্স দিনে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। আর তাঁর কাজের অনুপ্রেরণা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের কর্ম এবং সুন জুর ‘দি আর্ট অব ওয়ার’।