আবার ভূমিকম্প, এবার আন্দামান ও পাপুয়া নিউগিনিতে

নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে শুক্রবারের এই দুটি ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১ ও ৬ দশমিক ৮।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তরের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভূকম্পন অনুভূত হয়। আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরেসবির ৬৮৯ কিলোমিটার উত্তর পূর্বাঞ্চলে গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৮টার দিকে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
দেশটির রাজধানী কোকোপো শহরের প্রায় ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রাবাউল শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। শহরটি তাভুরভুর নামে একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাদদেশে অবস্থিত।
দুটি ভূমিকম্পেই এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি বলে রয়টার্স ও স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়। ভূমিকম্পে আন্দামান ও নিকোবরে সুনামি সতর্কতা নেই বলে আস্বস্ত করেছেন ভূতাত্ত্বিকরা।
তবে ভূমিকম্পের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্প উপকেন্দ্রের এক হাজার কিলোমিটারের মধ্যে পাপুয়া নিউ গিনি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্যান্য এলাকাজুড়ে বিধ্বংসী সুনামির আশঙ্কা নেই বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগেও গতকাল ৬.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প পাপুয়া নিউগিনিতে আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্প আঘাত হানার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে আরেকটি ভূমিকম্প (আফটারশক) দেশটিতে আঘাত হানল।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকার পুরোনো ও নতুন অনেক স্থাপনা ধসে পড়ে।
গতকাল পর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ২০৪ জন। এখনো দেশটির অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি। তাই মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।