অভিবাসন-প্রত্যাশীদের অস্ট্রেলিয়ার ‘না’

অভিবাসন-প্রত্যাশী মানুষদের আশ্রয় না দিতে নিজের কঠোর অবস্থান আরেকবার জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের সংকট প্রশ্নে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম কঠোর মনোভাব জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অভিবাসীদের আশ্রয়ের ব্যাপারটিতে সরাসরি ‘না’ করে দিয়েছিলেন অ্যাবোট। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা হবে।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘অবৈধ কোনো কাজের জন্য কাউকে পুরস্কৃত কিংবা পুনর্বাসিত করার প্রস্তাব দায়িত্বজ্ঞানহীন।’
অ্যাবোটের রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এই বক্তব্যের পরই এর কড়া সমালোচনা করে ইন্দোনেশিয়া সরকার। এর জবাবে আজ শুক্রবার অ্যাবোট আরো একবার বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও পৃথিবীর কোনো দেশেরই উচিত নয় অভিবাসন-প্রত্যাশী মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া।’ গতকালের বক্তব্য নিয়ে কোনো দুঃখ নেই বলেও জানান তিনি। অ্যাবোট জানিয়ে দেন, অভিবাসী নীতি নিয়ে তাঁর অবস্থানে তিনি কঠোর থাকবেন।
অ্যাবোটের এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলও। তাঁর ওই বক্তব্যে আঞ্চলিক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে তারা।
এর আগে সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের পুনর্বাসনকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কনভেনশন অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার দায় বলে বিবৃতি দেয় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিবাসন প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের সাহায্যে পশ্চিমাদের অনেকেই এগিয়ে আসার কথা বললেও গতকাল এ নিয়ে নিজের নেতিবাচক অবস্থানের কথা সাফ জানিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।