দিক পরিবর্তন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দাবানল, পাঁচ দিনে ক্ষতি ১৫০ বিলিয়ন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/11/afp_20250111_36te7mh_v1_highres_usweatherfire.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে চলমান দাবানল দিক পরিবর্তন করেছে। এতে তৈরি হয়েছে নতুন সংকট। এদিকে টানা পাঁচদিনের আগুনো এখন পর্যন্ত দেড়শ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মানুষের প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। ধ্বংস হয়েছে ১০ হাজারের বেশি স্থাপনা। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
অঙ্গরাজ্যের লস জুড়ে চলমান দুর্যোগে এখনও ছয়টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) শহরের পশ্চিমে জ্বলতে থাকা ‘প্যালেসেইডস’ নামের দাবানলটি নতুন দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করছে। এটি ভয়াবহ দাবানলগুলোর একটি। ফলে নতুন করে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা এরিক স্কট স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেটিএলএকে বলেছেন, প্যালেসেইডস দাবানলটির পূর্বের অংশে আগুন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটি দিক পরিবর্তন করে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দাবানল সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, প্যালেসেইডস দাবানলটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ছাড়া শহরের পূর্বে পাসাডেনা এলাকার কাছে ‘এটন’ নামের দাবানলটিও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। প্যালেসেইডস দাবানল ৮ শতাংশ এবং এটন দাবানল ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/01/11/daabaanl.jpg)
এদিকে গতকাল শুক্রবার আবহাওয়াবিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে ভয়াবহতম আগুনে ১৩৫ থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। তবে দাবানল চলমান থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে লস অ্যাঞ্জলেস শহরের ইটন এলাকা থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দাবানলে ইতোমধ্যে সেখানকার প্রায় ৩৪ হাজার একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, আরও ২ লাখ মানুষকে সতর্কতার আওতায় রাখা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে ‘সান্তা অ্যানা’ নামের ঝোড়ো বাতাসের কথা বল হচ্ছে।