ইউক্রেন শান্তিচুক্তিতে ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি’ চান জেলেনস্কি

ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়া মোটেও ‘গুরুত্ব’ দিচ্ছে না এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ সোমবার (৩ মার্চ) তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, একমাত্র নিরাপত্তার গ্যারান্টিই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে। খবর এএফপির।
এ সপ্তাহের শেষ দিকে এসে সংকট নিরসনে লন্ডনে আলোচনার পর ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যুদ্ধ থামাতে কীভাবে এক মাসের জন্য অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছানো যায়। কীভাবে নিশ্চিত করা যায় ইউক্রেনে আকাশ ও জলপথে এবং জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে হামলা বন্ধ করা যায়।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভবিষ্যৎবাণী করে বলেছেন, মস্কো যেকোনো চুক্তির শর্ত যেকোনো সময় ভাঙতে পারে। আর তাই একটি কার্যকর নিরাপত্তা গ্যারান্টির বিষয়টি সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। জেলেনস্কি আরও বলেন, যারা সমঝোতায় পৌঁছাতে চায়, তারা কখনো সাধারণ মানুষকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করবে না।
এদিকে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আগ্রাসন অভিযান শুরু করা রাশিয়া জেলেনস্কির বক্তব্য নাকচ করে উল্টো তাকে অভিযুক্ত করেছেন যে তিনি শান্তি চান না।
তবে, রাশিয়া যাই বলুক না কেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে ১৩০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশকিছু লোক হতাহত হয়েছে। শনিবারের ওই হামলায় দিনিপ্রোতে ৩০ থেকে ৪০ জন সৈন্য নিহত এবং আরও ৯০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন নির্ভরযোগ্য ব্লগার। সরকারিভাবে হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান না দিলেও ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল মিখাইলো দ্রাপাতি এই হামলাকে ‘হৃদয় বিদারক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

গতকাল রোববার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি লন্ডন সফর করেন ইউরোপীয় ও ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে বসতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরপরই তিনি এই সফরে আসেন। মূলত ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
তবে লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে তাতে কিয়েভের প্রতি ইউরোপের সমর্থনের বিষয়টিই উঠে এসেছে। যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে নিরাপত্তার ইস্যুতে খরচ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও পান জেলেনস্কি। কিয়েভের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়ে আসার আগে তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও কার্যকর পরিকল্পনার প্রয়োজনে একটি শক্তিশালী ক্ষেত্র তৈরির সূচনা হয়েছে।’