ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনারা রুশ সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হবে : পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা হলে তা মস্কোর সেনাবাহিনীর কাছে একটি ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে গণ্য হবে। এর একদিন আগে কিয়েভের মিত্ররা শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে সেনা মোতায়েনের অঙ্গীকার করে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে, তারা স্থল, সমুদ্র ও আকাশে একটি ‘আশ্বাস প্রদানকারী’ বাহিনী গঠন করবে, যারা কোনো চুক্তি কার্যকর হলে টহল দেবে।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্টকে একটি অর্থনৈতিক ফোরামে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘যুদ্ধের সময় যদি কিছু সৈন্য সেখানে উপস্থিত হয়, তাহলে আমরা ধরে নিচ্ছি তারা বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে।’
পুতিন আরও বলেন, এ ধরনের বাহিনী মোতায়েন দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য সহায়ক নয় এবং ইউক্রেনের পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ককে সংঘাতের ‘মূল কারণগুলোর’ একটি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি ।
ইউক্রেনের মিত্ররা এখনও অবশ্য পরিকল্পনার বিস্তারিত জানায়নি, কত সেনা থাকবে কিংবা কোন দেশ কীভাবে অবদান রাখবে, সে সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিয়েভ বলেছে, পশ্চিমা সেনাদের সমর্থনে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা যেকোনো শান্তিচুক্তির জন্য অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে রাশিয়া আবারও আক্রমণ চালাতে না পারে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো আক্রমণ শুরু করার পর থেকে লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, যদি এমন কোনো চুক্তি করা সম্ভব হয়, তাহলে সৈন্যদের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘যদি শান্তি ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত হয়, তবে আমি একেবারেই তাদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা দেখি না। কারণ যদি চুক্তি হয়, তবে রাশিয়া তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলবে কিনা তা নিয়ে কেউ সন্দেহ করবে না।’
ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো বারবার উল্লেখ করেছে, রাশিয়া অতীতে একাধিকবার চুক্তি ভঙ্গ করেছে, বিশেষ করে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যেও মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দেশটির পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।