বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে আগুন, যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

যুক্তরাজ্যে বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হিথ্রো বিমানবন্দর ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) সারাদি ন বিমানবন্দরটিতে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপির।
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি বিমানবন্দরের খুব কাছে এবং সেখান থেকেই বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
হিথ্রো ইউরোপের ব্যস্ততম ও বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০টি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ করে বিমানবন্দরটিতে। গত বছর ৮৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন যাত্রী হিথ্রোতে যাতায়াত করেছেন। এই বিমানবন্দর বন্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে।
উড়োজাহাজের চলাচল অনুসরণকারী (ফ্লাইট ট্র্যাকিং) ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুসারে, ইতোমধ্যে বেশ কিছু ফ্লাইট অন্যান্য বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আজ (শুক্রবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের এই বিমানবন্দরে না আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জরুরি সেবা কর্মীরা হেইসের উপকেন্দ্র থেকে আগুনের খবর পান। ভিডিওতে বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র এলাকার আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা যায়।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানায়, উপকেন্দ্রের ট্রান্সফর্মারের অর্ধেক অংশ এখনও পুড়ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০টি ফায়ার ইঞ্জিন ও ৭০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী কাজ করছে। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ১৬ হাজার ৩০০ বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের সহকারী কমিশনার প্যাট গোলবর্ন বলেন, ‘আমাদের ফায়ার ফাইটাররা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করছেন।’
এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কারণ এলাকায় প্রচুর ধোঁয়া ছড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।