হিথ্রো বিমানবন্দরে আংশিক ফ্লাইট চালু, শনিবার থেকে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম

কাছের একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রথম বিমান অবতরণ করেছে।
হিথ্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত যাত্রীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং যাত্রীদের তাদের এয়ারলাইন্সের নির্দেশনা ছাড়া বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। খবর বিবিসির।
বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী থমাস ওল্ডবাই যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, আমাদের বিমানবন্দরের জন্য এটি সবচেয়ে বড় ধরনের ঘটনা।
তিনি এটিকে "বাইরের কারণজনিত" ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
ব্যয়ভার কে বহন করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওল্ডবাই বলেন, এর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে, পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন যে, এমন ঘটনার জন্য বিমানবন্দরের সরাসরি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
শনিবার (২২ মার্চ) থেকে পূর্ণাঙ্গ বিমান চলাচল শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভর্জিন আটলান্টিক জানিয়েছে, শনিবার তারা প্রায় সম্পূর্ণ সূচি অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনার আশা করছে, যার মধ্যে হিথ্রোতে অবতরণকারী ফ্লাইটও অন্তর্ভুক্ত।

এয়ারলাইনটি বলছে, উপকেন্দ্রে আগুনের কারণে তাদের কার্যক্রমে "গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব" পড়েছে এবং আজ হিথ্রো থেকে ছাড়ার কথা থাকা সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে কাউন্টার-টেরোরিজম পুলিশ, তবে মেট পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো নাশকতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আগুনের পর ব্যাকআপ জেনারেটর চালু করা হলেও পুরো বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। এ নিয়ে বিমান পরিবহন বিশেষজ্ঞরা "গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন" তুলেছেন।