কঙ্গোতে প্রবল বৃষ্টিপাতে বন্যায় ৩০ জনের মৃত্যু

মধ্য-আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (ডিআরসি) রাজধানী কিনশাসায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যায় ৩০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থেকে শনিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা বৃষ্টির ফলে বিশাল এ শহরটিতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ রোববার (৬ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশটির একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় শহরটির বেশ কয়েকটি প্রত্যন্ত ও দরিদ্র এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কিনশাসা প্রদেশের জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাট্রিসিয়েন গংগো আবাকাজি এএফপিকে জানিয়েছেন, আহত অনেক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এই মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা হয় ডুবে গেছেন, না হয় বাড়ির দেয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কটি শহরের কেন্দ্র থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত। এ ছাড়া, আশপাশের অনেক এলাকাও প্লাবিত হয়েছে।
মাসিনা এলাকার বাসিন্দা অরলিন জানান, ‘দুপুর ২টার দিকে আমরা হঠাৎ করে দেখি যে প্লটের ভেতরে পানি বাড়তে শুরু করেছে এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়তেই থাকে। কিছু জায়গায় যাতায়াত করা কঠিন হয়ে যাওয়ায় আমরা শিশুদের নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাই।’
শহরের পূর্বে দেবনহোম জেলার বেশ কয়েকটি গাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

এএফপির সাংবাদিকরা জানান, কিছু বাসিন্দাকে ডিঙি নৌকায় বা সাঁতরে রাস্তা পার হতে দেখা গেছে। কিছু ভুক্তভোগী তাদের বাড়ির দোতলায় আটকা পড়েছিলেন। বন্যার কারণে শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া, পার্শ্ববর্তী কোঙ্গো-সেন্ট্রাল প্রদেশও এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী কঙ্গোর তীরে অবস্থিত কিনশাসা শহরে প্রায়ই বন্যা হয় থাকে এবং এতে বহু মানুষ মারা যায়। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় ৪০ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন।