দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ মে) পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। দেশটির মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অর্থমন্ত্রী চোইয়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।’
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে চোইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল। কারণ বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু একই সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে হান এই পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন।
তবে, চোই আকস্মিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘দেশি ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গুরুতর পরিস্থিতিতে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আমাকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে, যার জন্য আমি দুঃখিত।’
চোইয়ের পদত্যাগ এমন এক সময়ে এলো যখন বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও জনপ্রিয় নেতা লি জে-মিয়ংয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ খারিজ করে দেন।

অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে আনা অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটদান স্থগিত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের স্পিকার উ উন-শিক জানান, ‘চোইয়ের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে অভিশংসন ভোট স্থগিত করা হয়েছে।’
চোইয়ের এই অপ্রত্যাশিত পদত্যাগ দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিল। এর আগে, গত ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল ব্যর্থভাবে সামরিক আইন জারির চেষ্টা করেছিলেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, হান ডাক-সু মধ্যরাতে পদত্যাগ করলে চোইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল। তবে তার পদত্যাগের ফলে এখন এই গুরুদায়িত্ব বর্তেছে শিক্ষামন্ত্রী লি জু-হোর ওপর। তিনিই আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন।