যে কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনায় কাতারের বিলাসবহুল জেট

হোয়াইট হাউস এবং কাতার রাজপরিবার একটি বিলাসবহুল জাম্বো জেট হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যা সাময়িকভাবে এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানা গেছে।
কাতার সরকার জানিয়েছে, এই উড়োজাহাজটি উপহার নয় বরং “সাময়িক ব্যবহারের” জন্য হস্তান্তরের আলোচনা চলছে। খবর বিবিসির।
কাতারের মার্কিন গণমাধ্যম কর্মকর্তা আলি আল-আনসারি জানান, কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে আলোচনা চলছে, তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সিবিএস নিউজ জানায়, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে উড়োজাহাজটি তাঁর প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে দান করা হতে পারে।
খবরটি এসেছে এমন সময়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে কাতার যাচ্ছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগ বিনামূল্যে একটি উপহার পাচ্ছে, যা একটি ৭৪৭ উড়োজাহাজ। পুরনো ৪০ বছরের এয়ার ফোর্স ওয়ান এর জায়গায় এটি সাময়িকভাবে ব্যবহৃত হবে। এটি পুরোপুরি পাবলিক এবং ট্রান্সপারেন্ট।”
এই হস্তান্তর নিয়ে কিছু আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “যেকোনো বিদেশি উপহার প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখছে।”
কী ধরনের উড়োজাহাজ?
কাতার যেটি দিতে চাচ্ছে সেটি হলো বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজ। এবিসি নিউজ জানায়, এটি একটি “ফ্লাইং প্যালেস” বা আকাশে চলমান রাজপ্রাসাদে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
বর্তমানে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ব্যবহৃত বোয়িং ৭৪৭-২০০বি মডেল দু’টি ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে যুক্ত হয়।
বোয়িং কোম্পানি ট্রাম্পের আগের মেয়াদেই নতুন দুইটি ৭৪৭-৮ উড়োজাহাজের চুক্তি করে, কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ২০২৭ বা ২০২৮ সালের আগে তা প্রস্তুত হবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কাতার তুরস্ককে একটি বিলাসবহুল উড়োজাহাজ উপহার দিয়েছিল। ট্রাম্পের আগের মেয়াদে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বহু বিলিয়ন ডলারের উড়োজাহাজ ক্রয়চুক্তি হয়।