ইরানে ফের ইসরায়েলের হামলা

ইরানের রাজধানী তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাতের শেষভাগে ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিরোধমূলক এ হামলা চালায়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
হামলা চালানোর পর ইসরায়েলজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। হামলার কথা স্বীকার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’হামলা চালানো হয়েছে।

অপরদিকে ইসরায়েলের হামলার পর তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠা–নামা বন্ধ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আগাম প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই অভিযানের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতা। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরানের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও।
অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত নয়। ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের এক অক্টোবর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এক রাতে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল ইরানের সামরিক বাহিনী। তাতে অবশ্য ইসরায়েলের কোনো ক্ষতি হয়নি, কারণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেসব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে ফেলতে পেরেছিল ইসরায়েল। এই হামলার দু’দিন পর ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সেই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবিও করেছে তেল আবিব। তবে তেহরান এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।