ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি

ইরানের ওপর ইসরায়েলিদের ‘পূর্ব-নির্ধারিত হামলা’ শুরুর পর তেহরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল জরুরি অবস্থা জারি করেছে। খবর এএফপির।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগাম হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তাই নাগরিক প্রতিরক্ষা আইনের অধীনে তার কর্তৃত্ব অনুসারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এখন একটি বিশেষ আদেশে সই করেছেন। আদেশ অনুসারে সমগ্র ইসরায়েলরাজ্য জুড়ে হোম ফ্রন্টে একটি বিশেষ জরুরি অবস্থা জারি করা হবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতের শেষভাগে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তাদের সামরিক অভিযান ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন চলবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ এই হামলাকে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে চালানো হয়েছে।
এই হামলার পর তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ‘জড়িত নয়’। তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করার পরপরই ইরানে এই হামলা চালানো হয়েছে।