জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমা বন্ধ, ফ্লাইট বাতিল

ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় জর্ডান ও ইরাক শুক্রবার (১৩ জুন) তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে। উভয় দেশই আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মুখে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর এএফপির।
জর্ডানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আঞ্চলিক উত্তেজনার ফলে সৃষ্ট যেকোনো ঝুঁকির বিরুদ্ধে সতর্কতা হিসেবে রাজ্যের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগত, বহির্গামী ও পরিবহণে থাকা সমস্ত বিমানের জন্য বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
সরকারি মুখপাত্র মোহাম্মদ মোমানি এএফপিকে বলেছেন, জর্ডান তার আকাশসীমা লঙ্ঘনের কোনো অনুমতি দেয়নি এবং দেবেও না। এটি নিশ্চিত করে, এ অঞ্চলে কোনো সংঘাত বা যুদ্ধক্ষেত্র হবে না।
ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দেশ জর্ডান, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে ইরানের ছোড়া একাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র আটক করেছিল।
এদিকে, ইরানের সীমান্তবর্তী ইরাকও শুক্রবার তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
ইরাক নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পরিবহণ মন্ত্রণালয় ইরাকি আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ও সমস্ত ইরাকি বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাতের শেষভাগে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তাদের সামরিক অভিযান ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন চলবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ এই হামলাকে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে চালানো হয়েছে।

এই হামলার পর তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারি করা হয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ‘জড়িত নয়’। তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করার পরপরই ইরানে এই হামলা চালানো হয়েছে।