ইরানে হামলায় যেসব সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে চালানো সামরিক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক ও বিধ্বংসী সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার দাবি করেছে পেন্টাগন। আজ রোববার (২২ জুন) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের এই অভিযানে বিশেষত বাঙ্কার বাস্টার বোমা, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
হেগসেথের তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে ১৪টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো ৩০ হাজার পাউন্ডের মার্কিন বাঙ্কার বাস্টার বোমা ম্যাসন অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর (এমওপি) ব্যবহার করা হয়েছে। এই শক্তিশালী বোমাগুলো ভূগর্ভস্থ ও সুরক্ষিত স্থাপনা ধ্বংসের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
এছাড়া হামলায় দুই ডজনের বেশি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দূরপাল্লার, নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং সাধারণত নৌবাহিনীর জাহাজ বা সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
আকাশপথে হামলায় ১২৫টিরও বেশি সামরিক বিমান অংশ নেয়। মার্কিন শীর্ষ জেনারেল ড্যান কেইন এই অভিযানকে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ দ্বারা অসম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন, যা ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জামের সক্ষমতা ও অভিযানের অত্যাধুনিক কৌশলকে নির্দেশ করে।

হেগসেথ দাবি করেন, এই অভিযানের পেছনে ছিল দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। মার্কিন বোমারু বিমানগুলো ‘বিশ্বের অগোচরে প্রবেশ করেছে এবং অভিযান শেষে বের হয়ে গেছে।’