ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির খবরে কমল তেলের দাম

ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির খবর আসার পর এশিয়ার বাজারে আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) তেলের দাম পড়ে গেছে। এতে সরবরাহ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ অনেকটাই কমে এসেছে।
মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ২ শতাংশ, ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৭.১৩ ডলারে—যা প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। অপরদিকে, বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১.৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬৭.১৭ ডলার। খবর সিএনএনের।
সোমবার (২৩ জুন) রাতে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি “সম্পূর্ণ ও স্থায়ী” যুদ্ধবিরতি হয়েছে, যা স্থায়ী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, “শত্রুর ওপর যুদ্ধবিরতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
সোমবার ইরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে সীমিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরদিনই তেলের বাজারে ব্যাপক ধস নামে। ওইদিন ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৭.২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৮.৫১ ডলারে, যা এপ্রিলের শুরু থেকে সবচেয়ে বড় একদিনের পতন এবং গত তিন বছরে অন্যতম খারাপ দিন। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম নেমে আসে ৭১.৪৮ ডলারে, ৭.২ শতাংশ হ্রাস—আগস্ট ২০২২ সালের পর সর্বোচ্চ পতন।

শেষবার মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম ৭০ ডলারের নিচে ছিল ১২ জুন, অর্থাৎ ইসরায়েল যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে তার আগের দিন।
সেদিন সন্ধ্যায় তেলের দাম হঠাৎ ৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৮.৫০ ডলারে পৌঁছেছিল। যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়ে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় দামের এই ঊর্ধ্বগতি হয়েছিল, যা মোট ১০ শতাংশ বেড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছিল।
বর্তমানে যুদ্ধবিরতির খবরে তেলের বাজারে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।