ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে : ট্রাম্প

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠে শোনা গেল নতুন সুর। আজ বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে চলমান ন্যাটো সম্মেলনে তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, ‘ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে।’ খবর বিবিসির।
ন্যাটো সম্মেলনে যখন ট্রাম্পকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের আছে কিনা, এমন প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘ইরান মাত্রই একটি যুদ্ধে ছিল এবং তারা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যদি তারা তেল বিক্রি করতে চায়, তারা তেল বিক্রি করতে পারে। চীন চাইলে ইরানের কাছ থেকে তেল কিনতে পারে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘দেশটির (ইরানের) আবার ঠিক হওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন।’
তবে বক্তৃতার শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ‘ব্যাপক ও সুনির্দিষ্ট হামলা’ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের আর কোনো সামরিক বাহিনী এটি করতে পারতো না। আমেরিকান শক্তির এই অসাধারণ চর্চা শান্তির পথ খুলে দিয়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধু ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাই যুক্তরাষ্ট্রের হামলার একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। আরও দুটি লক্ষ্যবস্তু ছিল যেগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। সেগুলোতে শতশত মাইল দূরের সাবমেরিন থেকে হামলা করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, এগুলো বিশ্বের ‘গ্রেটেস্ট’ সাবমেরিন, এর ধারে কাছেও কেউ নেই।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ফের সংঘাতের শঙ্কা প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি উভয়ের সঙ্গেই কথা বলেছি। দুই দেশই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত... এবং এটা কি আবার শুরু হতে পারে? আমার ধারণা কোনো একদিন নিশ্চয়ই হবে। সম্ভবত খুব শিগগিরই শুরু হতে পারে।’

ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহেই ফের আলোচনায় বসতে পারেন। ইসরায়েল ও তেহরানের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের কারণে যে আলোচনা প্রক্রিয়াটি থেমে গিয়েছিল, সেটি পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আপনাদের বলছি, আমরা আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে কথা বলব। আমরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারি, তবে আমি নিশ্চিত নই।’