‘থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সমাধান চাইছে, কম্বোডিয়া নেতিবাচক’

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালানকুরা থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে চলমান সংঘাত ও উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টা সম্পর্কে আলজাজিরাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাইলেও কম্বোডিয়া এতে নেতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে।
বালানকুরা জানিয়েছেন, সীমান্তে এখনও লড়াই চলছে। এই সংঘাত এখন সশস্ত্র হামলায় পরিণত হয়েছে। থাই পক্ষের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক ও একজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশুও আছে, আর ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
বালানকুরা আরও বলেন, গতকাল থেকে সংঘাত চলছে, যদিও আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) পরিস্থিতি গতকালের চেয়ে কিছুটা ভালো বলে মনে হচ্ছে। তবুও, আমরা আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও থাই জনগণকে রক্ষা করছি।
উত্তেজনা প্রশমনে থাইল্যান্ডের উদ্যোগ ও কম্বোডিয়ার মনোভাব
আল জাজিরার প্রশ্নের জবাবে বালানকুরা বলেন, থাইল্যান্ড অনেক আগেই কম্বোডিয়া পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কারণ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা সব সময় জোর দিয়েছি যে আমরা দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এই বিষয়টি সমাধান করতে চাই। এর জন্য বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া রয়েছে।
তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, কম্বোডিয়ার পক্ষ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। বিপরীতে, গতকাল তারা থাই সেনাবাহিনীর ইউনিটের ওপর হামলা শুরু করে, যার ফলে আপনি আজ যা দেখছেন…।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো উভয় দেশ একে অপরের ওপর ভারি গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, কাম্বোডিয়ার ওড্ডার মেঞ্চি প্রদেশের প্রশাসনিক মুখপাত্র মেথ মিয়াস ফেকডি জানিয়েছেন, একটি শিশুসহ একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং পাঁচজন আহত হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৫০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।